শাল্লায় প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুস সালাম কতৃক দৈনিক ইনকিলাবের শাল্লা প্রতিনিধি ও দৈনিক ভোরের কাগজের শাল্লা প্রতিনিধি সাংবাদিক আমির হোসাইন ও জয়ন্ত সেনকে হত্যা করার পরিকল্পনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন পালন করা হয়েছে। এর আগে প্রকাশ্যে নিলাম ছাড়াই পছন্দের ব্যক্তিকে পুরাতন ভবন বিক্রি করে দেওয়ার কিছু তথ্য চেয়েছিল তিনজন সাংবাদিক। ওই কর্মকর্তার কাছে কিছু তথ্য চাওয়াতে সাংবাদিকদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন আব্দুস সালাম। তথ্য না দিয়ে গত দু’দিন আগে সাংবাদিক আমির হোসাইন ও জয়ন্ত সেনকে হত্যা করার জন্য একটি মহলের সাথে টাকা লেনদেনের আলোচনা করেন শিক্ষা কর্মকর্তা।
ওই কর্মকর্তা সাংবাদিককে হত্যা করার পরিকল্পনায় যাদেরকে ব্যবহার করতে চেয়েছিল তারা বিষয়টা নাকচ করে চলে আসে।পরে তারা সাংবাদিক আমির হোসাইনের সাথে যোগাযোগ করে জানতে চায় শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে সাংবাদিকদের কি সমস্যা। পরে তারা জানান আপনার উপর হামলা হতে পারে।আমাদের বলে ছিলো আমরা তা নাকচ করেছি।এর পর তথ্যের জন্য তাদেরকে বললে তারা আবার শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে কথা বলে তা ভিডিও আকারে তথ্য সংগ্রহ করে।বেশকিছু প্রমাণ সাংবাদিকদের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। এরই প্রতিবাদে শাল্লায় কর্মরত সাংবাদিকদের ব্যানারে বিশাল মানববন্ধন পালন করা হয়েছে। এছাড়াও মানববন্ধনের পর পরই দুর্নীতিগ্রস্থ শিক্ষা কর্মকর্তাকে অপসারণ ও পদত্যাগের দাবিতে ছাত্র-জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম গত জাতীয় নির্বাচনে স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে কাজ করেছে। সে শাল্লায় আসার পর থেকেই বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে। বক্তারা বলেন শিক্ষকদের জিম্মি করে স্লিপ ও ক্ষুদ্র মেরামতের বরাদ্দ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছে। ঘুষ ছাড়া স্বাক্ষর না দেওয়ার অনেক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তাকে তাৎক্ষণিকভাবে অপসারণের দাবি করে বক্তারা বলেন এরকম দুর্নীতিবাজদের বাংলার মাঠিতে কোথাও ঠাই দেওয়া ঠিক নয়।
মানববন্ধনের পর পরই শিক্ষা অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে,অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।
এসময় ‘একদফা এক দাবি,সালাম তুই কবে জাবি’দুর্নীতির গদিতে,আগুন জ্বালাও একসাথে’একদফা দাবি এক সালামের পদত্যাগ’ এরকম বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন উপস্থিত ছাত্র-জনতা।
এর আগে সাংবাদিক জয়ন্ত সেনের পরিচালনায় ও সিনিয়র সাংবাদিক বাদল চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলটি পালন করা হয়েছে। মানববন্ধনে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ সহ সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুস সালাম তার পূর্বের কর্মস্থল গাইবান্ধা,রাঙ্গামাটি,পাবনা ও মাগুরা জেলার কয়েকটি উপজেলায় কর্মরত থাকা অবস্থায় নানা ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া,তার বেতনস্কেল নিম্নে গ্রেডে রুপান্তর করা সহ অনেক শাস্তি হয়েছিল। এরই পরিপেক্ষিতে শাল্লায় তাকে শাস্তিমূলক স্থান হিসেবে বদলি করা হয়। কিন্তু এখানে এসেও সে থেমে থাকে নি। দুর্নীতিতে আরো বেপরোয়া হয়ে উটেন তিনি। এনিয়ে দৈনিক ভোরের কাগজ,দৈনিক কালেরকণ্ঠ সহ বেশ কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে।
Devoloped By WOOHOSTBD