মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার শিক্ষার বাতিঘর হিসেবে পরিচিত বিশ্বেশ্বরী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে একজন শারীরিক অসুস্থ লোককে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।শত বর্ষের অধিক প্রাচীন স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অসুস্থ ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে সচেতন মহলে।
জানাযায়, গত ১৩ সেপ্টেম্বর সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।জেলা থেকে ডিজি প্রতিনিধি এসে পরীক্ষা শুরু করার কথা থাকলেও আসার আগেই স্কুলের অধ্যক্ষ লিখিত পরীক্ষা শুরু করে দেন।পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের মন বন্ঠনেও অসামঞ্জস্যের কথা তুলে ধরেন একাধিক নিয়োগ প্রত্যাশী।নিয়োগ পাওয়া রিপন
কুমার তালুকদার কে উত্তীর্ণ করতেই এমন মান বন্টন করা হয়েছে বলে অভিযোগ অন্যান্য নিয়োগ প্রত্যাশীদের। তাছাড়াও নিয়োগ প্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়টির অধ্যক্ষ্যের প্রতিবেশী নিকট আত্মীয় বলে জানাযায়। পরীক্ষার দিনই ধর্মপাশা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রিপন কুমার তালুকদার কে প্রথম ঘোষনা করে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।ফলাফল ঘোষনার পরপরই অসুস্থতার বিষয়টি গভর্নিং বডির সদস্যরা জানতে পেরে তাকে নিয়োগ না দেওয়ার ব্যপারে সিদ্ধান্ত নেন।বিষয়টি অন্যান্য নিয়োগ প্রত্যাশীদের সাথে আলোচনাও করেন তারা।
নিয়োগ প্রার্থী গলহা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো.আব্দুল কাদির বলেন,প্রশ্নের মানবণ্টনে অসামঞ্জস্য ছিল।যেখানে ইংরেজি ও গণিত উভয় বিষয়ে সমান মার্ক থাকার কথা সেখানে ইংরেজিতে বেশি মার্কের প্রশ্ন করে গণিতে কম মার্ক রাখা হয়েছে।
ধর্মপাশা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিধান চন্দ্র তালুকদার বলেন,রিপন কুমার তালুকদার আমার বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। অসুস্থতার কারণে আমার নিকট থেকে অনেক সময় ছুটি নিয়েছে।শোনেছি তার হার্টে প্রবলেম আছে।
সদ্য নিয়োগ পাওয়া রিপন কুমার তালুকদার বলেন,গত ১ তারিখে আমার হার্টে একটা মাইনর অ্যাটাক হয়ছিল।আমি ঢাকায় চিকিৎসা নিয়েছি।এখন আমি সুস্থ। মাস দুয়েক পরে চিকিৎসার জন্য ভারত যেতে পারি।
বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সদস্য মো. কামাল হোসেন বলেন,অসুস্থতার কথাটি শোনা মাত্রই তাকে নিয়োগ না দেওয়ার ব্যাপারে আমি সুপারিশ করি।নিয়োগ প্রক্রিয়া কয়েকদিন থেমে থাকার পর হঠাৎ গভর্নিং বডির মিটিং ডাকেন বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ। নিয়ম বহির্ভূত ভাবে ওই মিটিং এ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাও উপস্তিত ছিল বলে জানান তিনি।
নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব ও বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ বিজন কুমার তালুকদার সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষকের শারীরিক অসুস্থতার কথাটি স্বীকার করে বলেন,পরীক্ষায় কোন দুর্নীতি করা হয় নি।ভালো ফলাফল করেছে বিধায় অসুস্থ থাকলেও আমরা তাকে বাদ দিতে পারিনা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুবুল কবির বলেন,বিধি মোতাবেক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়।
নিয়োগ কমিটির সভাপতি ও মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অ:দা: শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন, সম্পূর্ণ ফ্রি এন্ড ফেয়ার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অসুস্থ বা আনফিট এটা মেডিকেল বোর্ড ব্যতীত আমাদের বলার সুযোগ নেই। আমরা গভর্নিং বডির প্রত্যেকের সাথে কথা বলেছি সবাই নিয়োগের পক্ষে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন,বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে
Devoloped By WOOHOSTBD