• বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ০৯:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
তাহিরপুরে সরকারী বরাদ্দের বিনা মূল্যের ১৫০ বস্তা লবণ গোপন সমঝোতা সাতজন দেয়ার অভিযোগ; উপজেলা জুড়ে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় হোমিওপ্যাথির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ডাঃ কামরুল ইসলাম মনা সম্পর্কে দেশ-বিদেশের বিশিষ্ট গুণীজনদের অভিমত সীতাকুণ্ডে বিজনেস ফোরামের ঈদ পূণমির্লনী অনুষ্ঠিত মিরপুরে ইট ভাটা মালিক ও মৎস্য চাষী কাউসার’র ৮ লক্ষ টাকার মাছ বিষ দিয়ে মেরে ফেলেছে জিসান গং সুনামগঞ্জে ডিবি পুলিশের অভিযানে ১৬ কেজি গাঁজাসহ ১ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার দৌলতপুরে প্রাগপুর ইউনিয়ন বিএনপির মনোনয়নপত্র না দেওয়ায় সংবাদ সম্মেলন ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবামূল্যায়ন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বিএনপির কমিটির পূর্ণ গঠনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ভেড়ামারা অনলাইন প্রেসক্লাবের উদ্যোগে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ কুষ্টিয়া আইনজীবী সমিতির নির্বাচনী প্রচার ক্যাম্পে বহিরাগতরা হামলা বিশ্বম্ভর পুরে ইরা সংস্থার মালালা ফান্ডের মেয়েদের মাধ্যমিক শিক্ষায় আর্থিক সহায়তা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

মধ্যনগরে অনলাইন জুয়ার ফাঁদে পা দিচ্ছে তরুণ শিক্ষার্থীরা

Muntu Rahman / ২১৭ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিনিধি:

সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলায় মুঠোফোনে অনলাইন জুয়ার ফাঁদে পেশাদার জুয়ারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে তরুণ শিক্ষার্থীরাও জড়িয়ে পড়ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।ফলে তরুণ শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা থেকে ছিটকে পড়ছে,দেখা দিচ্ছে নৈতিক অবক্ষয়।আর এ জুয়ার ফাঁদে ফেলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন মিষ্টার মিয়া নামের এক যুবক।মো.মিষ্টার মিয়া উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের হামিদপুর গ্রামের মো.কদু মিয়ার ছেলে।

অনুসন্ধানে জানাগেছে,মিষ্টার মিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ‘শিলং তীর’নামক একটি অনলাইন জুয়ার কাউন্টার এজেন্ট হিসেবে এলাকায় জুয়ার বিস্তার ঘটাচ্ছেন।এর আগে তিনি ঢাকায় রঙ মিস্ত্রী হিসেবে কাজ করতেন।এই জুয়ার বদৌলতে অল্পদিনেই তিনি লাখপতি বনে গেছেন।এলাকায় জমি কেনাসহ গড়ে তুলছেন দালান বাড়ি।এই অনলাইন জুয়ার লোভে সর্বস্বান্ত হচ্ছে শিক্ষার্থী ও উঠতি বয়সী তরুণেরা। অনলাইন জুয়ার নেশায় বুঁদ হওয়াতে এলাকাতে বাড়ছে পারিবারিক কলহ আর অশান্তি।অনুসন্ধানে আরও জানাগেছে,মিষ্টার মিয়া প্রতিদিন উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের হামিদ চৌরাস্তা বাজারের একটি দোকান ঘরে বসে নগদ অথবা অনলাইন ব্যাংকিং(বিকাশ/নগদ) এর মাধ্যমে জুয়ারিদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করেন।টাকার বিপরীতে এক থেকে এক’শ এর মধ্যে একাধিক নাম্বার বলে দেন টাকা প্রদানকারী ব্যক্তি।আর সেই নাম্বার মনে রাখার জন্যে একটি নোট প্যাডে লিখে রাখা হয় অথবা টাকা প্রদানকারীর মোবাইলে টাকার পরিমাণ ও পছন্দের নাম্বার লিখে ম্যাসেজ করা হয়।প্রতিদিন বিকাল চারটায় ‘শীলং তীরে’ওয়েবসাইটে ফলাফল প্রকাশিত হলে কারো নাম্বার মিলে কিনা তা খুঁজে দেখা হয়।প্রকাশিত নাম্বারের সাথে কারো নাম্বার মিলে গেলে উইনার হিসেবে সে দশগুণ পর্যন্ত টাকা পায়। আর নাম্বার না মিললে সব টাকাই পেয়ে যায় কাউন্টার এজেন্ট মিষ্টার।খেলাটি অত্যন্ত সহজ ও বেশি লোভনীয় হওয়ায় এলাকার সবার কাছে দ্রুত ছড়াচ্ছে বলেও জানান স্থানীয়রা।

মুঠোফোনে শিলং কাউন্টার এজেন্ট মো.মিষ্টার মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি এর সত্যতা স্বীকার করে বলেন,’আমি কাউন্টার এজেন্ট নই,কাউন্টার সিলেটের অন্য একজন।আমি তার মহুরি হিসেবে কামলা দেই।’

মধ্যনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.সজিব রহমান বলেন,’মাদক ও জুয়ার বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে।বিষয়টি খতিয়ে দেখে শীঘ্রই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Devoloped By WOOHOSTBD