• মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২০ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল রাজশাহীর তানোর উপজেলায় উলামা মাশায়েখ সম্মেলন তাহিরপুর থানা পুলিশের অভিযানে বালু ভর্তি ৪ টি নৌকাসহ গ্রেফতার-১ ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া ট্রাফিক মোড়ে জামায়াতের বিশাল জনসভা ভেড়ামারায় বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান! অর্থদন্ড ভেড়ামারা উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক নির্দেশনায় রাতের অন্ধকারে নির্মাণ কৃত অবৈধ স্হাপনা উচ্ছেদ দৌলতপুরে আধিপত্য বিস্তারে নৈরাজ্য সৃষ্টির অভিযোগ বিএনপি নেতা, মন্টি সরকারের বিরুদ্ধে। ভেড়ামারায় ইউএনওর বদলি আদেশ প্রত্যাহার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের মত বিনিময় সভা সংষ্কার এর নামে অরাজকতা সৃষ্টি কারীদের কে আইনের আওতায় আনার জোর দাবী — ডাঃ কামরুল ইসলাম মনা

ভ্যাজাইনাল মাসল টাইট ছোট ও শেপ সুন্দর রাখতে ইয়োগার গুরুত্ব অপরিসীম

admin / ৬৪৮ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২

ভ্যাজাইনাল মাসল টাইট ছোট ও শেপ সুন্দর রাখতে ইয়োগার গুরুত্ব অপরিসীম

সব মেয়ে চাই তার ভ্যাজাইনাল মাসল টাইট থাকুক, শেপ ছোট ও সুন্দর থাকুক। কিন্তু নানাবিধ ভুলের কারণে ভ্যাজাইনাল মাসুল লুজ, বড় এবং ঝুলে যায় ফলে দেখতে যেমন খারাপ লাগে তেমনি স্বামীর কাছেও লজ্জা পেতে হয় তাই আসুন ভ্যাজাইনাল মাসুল টাইট ও শেপ সুন্দর রাখতে নিয়মিত যোগ, লাইফ স্টাইল এবং খাদ্যভাস পরিবর্তন করুন এবং সুস্থ থাকুন।

ভ্যাজাইনাল মাসল টাইট ছোট ও শেপ সুন্দর রাখতে ইয়োগাঃ-
সাধারনত দেখা যায় কোন বিবাহিত মেয়ে ১টি বা ২টি সন্তান জন্ম দেয়ার পর তাদের ভ্যাজাইনাল মাসল এর অবস্থা চেঞ্জ/লুজ হয়ে যায়। আবার অনেক মেয়েরা ভুল বসত বা ইচ্ছা বসত বিয়ের আগেই হস্তমৈথুন, সমকামিতা, এক বা একাধিক পুরুষের সংগে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে যার কারণে ভ্যাজাইনা টাইট থাকে না, ইনফেকশন হয়, অনেক মেয়েরা একাধিক বার এম-আর করে ফলে তাদের ভ্যাজাইনার টাইট অবস্থা একবারে নষ্ট হয়ে যায় এবং তাদের বিবাহীত জীবন সংশয় ময় হয়ে উঠে তাদের জন্য এই ইয়োগা আসন গুলি খুবই ইফেক্টিভ। তবে যারা ভ্যাজাইনাল মাসল টাইট ও ছোট শেপ সুন্দর ধরে রাখতে চান তারা আজই চলে আসুন ডাঃ মনা ইয়োগা ওয়ার্ল্ড এ।

ভ্যাজাইনাল ইনফেকশন বা যোনী এলাকায় সংক্রমণ মেয়েদের বেশ প্রচলিত সমস্যা। শুষ্কতা, চুলকানি, অস্বস্তিভাব এই সমস্যার লক্ষণ। আবার অনেক সময় নারীরা তলপেটে অসহ্য ব্যথা অনুভব করেন। এটা কোনও সাধারণ ব্যথা নয়, এটা অনেক সময় নারীর গোপন রোগের ইঙ্গিত দেয়। অশিক্ষিত, দরিদ্র নারীদের মধ্যে এ রোগের প্রকোপ বেশি, কারণ তাদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতার খুবই অভাব রয়েছে। তবে প্রতিদিনের জীবন যাপনে কিছু বিষয় মেনে চললে সমস্যাগুলো এড়ানো যায়।

আসুন জেনে নেই ভ্যাজাইনা বিষয়ে কিছু গুরুত্বপুর্ণ তথ্য-

১. পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা –
ভ্যাজাইনা বা যোনী আলাদাভাবে পরিষ্কার করতে হয় না। সৃস্টিকর্তা প্রাকৃতিকভাবেই এই স্থান পরিষ্কার রাখার ব্যবস্থা করে রেখেছেন। তবে যোনী পথের আশেপাশের স্থান ভালোভাবে পরিষ্কার রাখতে হয়।
আলাদা করে কোন প্রকার ক্ষার সাবান, স্প্রে, ক্রিম ইত্যাদি কোন কিছুই যোনীতে ব্যবহার করা উচিত নয়।

২. ভ্যাজাইনার সুরক্ষা ব্যবস্থা –
ভ্যাজাইনার সুরক্ষার জন্য কিছু ভালো ব্যাকটেরিয়া এবং ইস্ট থাকে, ডাক্তারি পরিভাষায় যাকে নরমাল ফ্লোরা (Normal Flora) বলে। এই সমস্ত ব্যাকটেরিয়াগুলো ভ্যাজাইনার অভ্যন্তরীণ পরিবেশে স্থিতি বজায় রাখে।
এরা ভ্যাজাইনার সাধারণ পিএইচ (ph level) লেভেল, অ্যাসিডিটি, এমনকি অন্যান্য ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে। সাবান, স্প্রে বা এ ধরনের পদার্থ ব্যবহার করলে এই ভালো ব্যাকটেরিয়াগুলো মারা যায় এবং বিভিন্ন ইনফেকশন দেখা দেয়।

৩. নিজস্ব গন্ধ-
প্রতিটি মানুষের নিজস্ব একটি গন্ধ থাকে। ভ্যাজাইনাতেও হালকা কিছু গন্ধ থাকা খুবই স্বাভাবিক। মাসিকের ধরণ, খাবারদাবার, শরীরে পানির পরিমাণ ইত্যাদি কারণে এই গন্ধে পার্থক্য থাকে। এই গন্ধ দূর করতে ভ্যাজাইনাতে আলাদা করে সেন্ট, পারফিউম বা অন্য কোন সুগন্ধি প্রোডাক্ট ব্যবহার করার দরকার নেই।
তবে যদি মনে হয় যে অতিরিক্ত বাজে দুর্গন্ধ হচ্ছে, তাহলে সব থেকে ভালো সমাধান হচ্ছে একজন গাইনী চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া।

৪. নিজে নিজেই চিকিৎসা নয়-
অনেকেই আছেন ভ্যাজাইনার ইস্ট জাতীয় ইনফেকশন দূর করতে সেখানে টক দই অথবা রসুন ব্যবহার করেন! তারা দাবি করেন যে এধরনের ইনফেকশনের কারণে যে চুলকানি হয় তাতে টক দই দিলে কিছুটা আরাম লাগে, রসুন ব্যবহারে আরোগ্যলাভ হয়!
কিন্তু এতে ভালো না হয়ে বরং ক্ষতি আরো বেড়ে যায়। টক দই ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ইনফেকশন বাড়িয়ে দেয়। আর রসুন জায়গাটা পুড়িয়ে ফেলে। আর এধরনের ইনফেকশন ঠিকমত চিকিৎসা না হলে তা শরীরের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

৫. ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ বা সাদা স্রাব-
নারীরা গোপন কোন স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগলে তা সাধারণত লজ্জার কারণে কাউকে বলতে চায় না। সাদা স্রাব বা লিউকেরিয়া এমনই একটি রোগ। মাসিকের আগে আগে অনেকেরই হালকা সাদা স্রাব হতে পারে। এটি স্বাভাবিক, কিন্তু অনেক সময় অতিরিক্ত পরিমাণ সাদা বা হলুদ স্রাব হয় যা অতি দুর্গন্ধযুক্ত।
অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাস, জননাঙ্গ পরিষ্কার না রাখা, ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের আক্রমণ ইত্যাদি কারণে এটি হতে পারে। এই রোগ নিরাময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ মত ওষুধ সেবন ও অয়েন্টমেন্ট ব্যাবহার করাই সব থেকে উপকারী। অভিজ্ঞ কোন চিকিৎসক এর পরামর্শ ছাড়া ঘরোয়া পদ্ধতি বা বিভিন্ন হার্বাল পদ্ধতি মেনে সরাসরি ভ্যাজাইনায় কিছু ব্যবহার করলে ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি থাকে।

৬. অন্তর্বাস নির্বাচনে সচেতনতা-
ফ্যাশনের চাইতে আরামটাকেই গুরুত্ব দিন অন্তর্বাস বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে। এই পোশাকটি আপনি বলতে গেলে সারাদিনই পরিধান করেন, তাই এটা আরামদায়ক হওয়া বাঞ্ছনীয়। অন্তর্বাসের ক্ষেত্রে ফেব্রিক খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
খুব বেশী মোটা কাপড়ের অন্তর্বাস পরিধান করবেন না। এতে পোশাকটি ভিজে গায়ের সাথে লেপটে থাকবে এবং ব্যাকটেরিয়া জন্মে ত্বকের নানান রকম অসুখে আক্রান্ত হবেন আপনি। খুব বেশী পাতলা অন্তর্বাসও পরিধান করবেন না। সুতি বা প্রাকৃতিক তন্তু হতে তৈরি এমন অন্তর্বাস বেছে নিন।

৭. চুলকানি মানেই ইনফেকশন নয়-
ইনফেকশন ছাড়াও এমন অনেক কারন আছে যার কারণে ভ্যাজাইনায় চুলকানি হতে পারে। আপনার ব্যবহার করা অপরিষ্কার কাপড়, লন্ড্রি প্রোডাক্ট যেমন সাবান বা ডিটারজেন্ট-এর ব্যবহার বা অনেক সময় আশেপাশের স্থান শেভ করার কারণেও চুলকানি হতে পারে। চুলকানি মানেই যে ফাঙ্গাল ইনফেকশন, তা কিন্তু নয়। ব্যাক্টেরিয়াল ইনফেকশনও হতে পারে।
আবার অনেক সময় বিভিন্ন যৌন রোগের কারণেও চুলকানি হতে পারে যার ট্রিটমেন্ট সম্পূর্ণ আলাদা। তাই ভ্যাজাইনায় চুলকানি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতিত অন্য কিছু ব্যবহার করবেন না। এতে ভ্যাজাইনার সেনসিটিভ ত্বকে নিজের অজান্তেই আরো বড় ক্ষতি করে ফেলতে পারেন।

৮. সঠিক নিয়মে শৌচকর্ম-
ভ্যাজাইনা থেকে মলদ্বার এর দূরত্ব খুবই অল্প। তাই সঠিক নিয়মে শৌচ করতে জানাটা জরুরী। শৌচ করার সময় সব সময় সামনে থেকে পেছনে যেতে হবে। পেছন থেকে সামনে নয়। এতে মলদ্বার থেকে জীবাণু ভ্যাজাইনায় চলে আসতে পারে এবং সেই জীবাণুর কারণে ইনফেকশন হয়ে তা জরায়ু পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।

৯.ভ্যাজাইনার আদ্রতা –
ভ্যাজাইনা এমনিতেই সাধারণত একটু ভেজা ভেজা থাকে। তবে শরীরে ইস্ট্রজেন হরমোন এর তারতম্য হলে বা পানির অভাব হলেও ভ্যাজাইনা ড্রাই হয়ে যেতে পারে। তাই ভ্যাজাইনা অতিরিক্ত শুষ্ক মনে হলে বেশি বেশি পানি, ফলের জুস, শরবত খান।
আর তাতেও কাজ না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কিন্তু ঘরে বসে কোন প্রকার লুব্রিকেন্ট, তেল, লোশন বা অন্য কোন জড়িবুটি ব্যাবহার করবেন না। এতে তাৎক্ষনিক ভাবে ভ্যাজাইনার শুষ্ক ভাব কমলেও পরবর্তিতে বিপদ হতে পারে। ভ্যাজাইনার ত্বক পাতলা হয়ে যায় এবং ক্ষত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

১০. ভ্যাজাইনাল টাইটনেস-
ভ্যাজাইনা এক ধরনের ইলাস্টিক তন্তু জাতিয় মাসল দিয়ে গঠিত। যা অল্প বয়সে টাইট বা শক্ত থাকে। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে বা সন্তান জন্মদানের পর আস্তে আস্তে তা লুজ হতে শুরু করে। এটি একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া যা আপনি চাইলেই পরিবর্তন করতে পারবেন না।
তবে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করে এই প্রক্রিয়া ধীর করতে পারেন। যেমন, ভারী জিনিস উত্তলন না করা, পুষ্টিকর খাবার খেয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা, কেগেল ব্যায়াম করা ইত্যাদি। এক্ষেত্রে বাজারের বিজ্ঞাপন দেখে কোন কিছু ব্যবহার করা কোন কাজে আসে না।
যোনী বা ভ্যাজাইনা মেয়েদের শরীরের গোপনতম অঙ্গ। যা সম্পর্কে অনেকেই অনেক ভুল ধারণা নিয়ে থাকেন, অনেকেই লজ্জায় নিজের অনেক গোপন সমস্যা সম্পর্কে কাউকে লজ্জায় কিছু বলতে পারেন না। যার ফলে ছোটখাট বিষয় থেকে অনেক বড় সমস্যা তৈরি হয়। তাই লজ্জা ভেঙে নিজেকে জানুন, সুস্থ থাকুন।

জরায়ু ভালো রাখার উপায়-

এর ভিটামিন সি এবং ম্যাগনেসিয়াম জরায়ু সুস্থ রাখে, যা রজঃচক্র ঠিক রাখতে সহায়ক। কাঁচা-পেঁপে: খাদ্য-তালিকায় কাঁচা-পেঁপে রেখে রজঃচক্র ঠিক রাখতে পারেন। পেঁপে জরায়ুর পেশি সবল রাখে যা নিম্নাঙ্গে রক্ত সঞ্চালন এবং কোষ সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। দারুচিনি: রান্নার স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি দারুচিনি রজঃচক্র ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
অনেক নারীই ভ্যাজাইনা বা যোনিপথের সংক্রমণে ভুগে থাকেন। এই অংশের সংক্রমণ ভীষণ অস্বস্তি তৈরি করে। তবে কিছু নিয়ম মেনে চলার পাশাপাশি কয়েকটি (কেগেল) ব্যায়াম করলে যোনিকে ভালো রাখা যায়।

১. বেশি ক্ষারযুক্ত সাবান-
সাবানের ক্ষার বা পরিষ্কার করার উপাদান কখনো কখনো শরীরের ভালো ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে সংক্রমণ আরো বাড়িয়ে দেয়। তাই ভ্যাজাইনা ভালো রাখতে এ ধরনের সাবান ব্যবহার করবেন না।

২. শুষ্ক রাখুন-
যোনি এলাকা কেবল পরিষ্কার রাখলেই চলবে না, একে শুষ্কও রাখতে হবে। স্যাঁতসেঁতে ভাব সংক্রমণ তৈরি করে। তাই পানি দিয়ে পরিষ্কারের পর জায়গাটিকে তোয়ালে বা টিস্যু দিয়ে পরিষ্কার করুন।

৩. সুতির অন্তর্বাস ব্যবহার করুন-
যোনিস্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে আঁটসাঁট অন্তর্বাস ব্যবহার করবেন না। এতে বাতাস চলাচল ব্যাহত হয়ে সংক্রমণ হতে পারে। সুতির আন্ডারপ্যান্ট ব্যবহার করুন। এ ছাড়া ঘুমানোর সময় আঁটসাঁট পায়জামা ব্যবহার করবেন না।

৪. স্যানিটারি ন্যাপকিন পরিবর্তন করুন-
মাসিকের সময় অনেকেই হয়তো একটি স্যানিটারি ন্যাপকিন দীর্ঘক্ষণ ধরে ব্যবহার করেন। এই কাজটি একেবারেই ঠিক নয়। এতে জায়গাটিতে দুর্গন্ধ হয় এবং সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই অন্তত চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা পরপর স্যানিটারি ন্যাপকিন পরিবর্তন করুন।

৫. পানি পান-
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে এবং যোনির স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাই পর্যাপ্ত পানি পান করুন।

৬. খাদ্যাভ্যাস-
সংক্রমণ থেকে ভ্যাজাইনাকে মুক্ত রাখতে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। এটি শুধু ভ্যাজাইনাকেই ভালো রাখবে না, দেহের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গকেও ভালো রাখবে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, যোনির সংক্রমণ প্রতিরোধে নিয়মিত দই খাওয়া বেশ কাজে দেয়। তাই খাদ্যতালিকায় নিয়মিত দই রাখুন।

ভ্যাজাইনার স্বাস্থ্য বজায় রাখার ঘরোয়া উপায়-
ভ্যাজাইনার স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য বাড়িতেই কিছু নিয়মকানুন মেনে চলুন৷

সুতির অন্তর্বাস পরুন,বিশেষ করে গরমকালে। যাঁরা থং পরতে অভ্যস্ত, তাঁদের জন্যও একই নিয়ম। অন্তর্বাস প্রতিদিন, পারলে দিনে দু’বার বদলান। রাতের বেলা অন্তর্বাস না পরলে যৌন অঙ্গ শ্বাস নিতে পারে।
প্রতিবার মূত্রত্যাগের পর ভ্যাজাইনা ধুয়ে মুছে নিতে পারলে খুব ভালো হয়। মোছার সময় সামনে থেকে পিছনের দিকে টিস্যু নিয়ে যান, ভুলেও উলটোটা করবেন না।
সাঁতার কাটতে ভালোবাসেন? জল থেকে উঠে তাড়াতাড়ি সাঁতারের পোশাক ছেড়ে ফেলুন, তাতে ইনফেকশনের আশঙ্কা কমবে।
প্রচুর জল খান সারাদিনে, সুস্থ থাকার জন্য ভ্যাজাইনার আর্দ্র থাকাও প্রয়োজন। তাতে দুর্গন্ধও কমে।
দই খান নিয়ম করে। দইয়ের ব্যাকটেরিয়া ভ্যাজাইনার পিএইচ ব্যালান্স বজায় রাখতে সহায়ক, ইস্ট ইনফেকশন তাড়ায়।
রোজের খাদ্যতালিকায় শাক-সবজি, সাইট্রাস ফল রাখবেন অবশ্যই। আয়রনযুক্ত শাকসবজি সারা শরীরের পাশাপাশি ভ্যাজাইনাতেও রক্ত সংবাহন বাড়ায়, তাতে আর্দ্রতা বজায় থাকে। লেবুজাতীয় ফলের ভিটামিন সি বাড়ায় প্রতিরোধক্ষমতা।
ভ্যাজাইনার পিএইচ ব্যালান্স বজায় রাখতে ক্র্যানবেরি জ্যুস খুব কার্যকর। যাঁরা ইউরিনারি ট্র্যাক্টের ইনফেকশনে ভোগেন, তাঁদের পক্ষেও ক্র্যানবেরি জ্যুস ভালো।
নিয়মিত কেগেল এক্সারসাইজ় করলে শক্তিশালী ও সুস্থ হবে আপনার ব্যক্তিগত অঙ্গের সমস্ত পেশি। তাতে নাকি অরগ্যাজ়মও হয় চমৎকার!

শিক্ষণীয়-
সর্বোপরি হস্তমৈথুন, সমকামিতা, বহুগামিতা, এমআর ইত্যাদি থেকে দুরে থাকুন। ক্যান্সারের মত ভয়ানক রোগ থেকে নিরাপদে থাকুন। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলুন। সৃষ্টিকর্তা কে ভয় করুন। পাপ মুক্ত জীবন যাপন করুন।

( তথ্যসূত্র – বিভিন্ন জার্নাল থেকে এবং দীর্ঘদিনের চিকিৎসা জীবনের ও যোগের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে সংগৃহীত)

বিস্তারিত জানতে – ডাঃ কামরুল ইসলাম মনা ০১৭১২২৭৬৭৫৩


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Devoloped By WOOHOSTBD