বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাশেম বলেছেন, স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের শাসনামলে দেওয়া জঙ্গী ট্যাগ লাগিয়ে জামায়াতের সর্বোচ্চ নেতাদের পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। ১৫ বছরে স্বস্তিতে থাকতে দেয়নি কোন কর্মী সমর্থক কে। কিন্তু মহান আল্লাহর পরিকল্পনায় আজ গনমানুষের সঙ্গী হিসাবে পরিনত হয়েছে জামায়াত ইসলামী। তিনি গতকাল মঙ্গলবার বিকালে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পাইলট মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত জামায়াতের বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা গুলো বলেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর প্রসঙ্গ টেনে এনে তিনি আরো বলেন, পাকিস্থান মুসলিম অধুষ্যিত আর ভারত হিন্দু অধ্যুষিত। ৪৭ সালে দেশ ভাগের পর থেকে ভারতের টার্গেট ছিল মুসলমানদের শক্তি কিভাবে কমানো হয়। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসাবেই ভারত মুসলমানদের শক্তি কমাতেই যুদ্ধ লাগিয়ে দেয়। মুসলামানদের শক্তি যাতে নষ্ট না হয়, সেই লক্ষ্যেই জামায়াতে ইসলামী মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহন করেনি। তবে জামায়াতের বহু লিডার, কর্মী সমর্থক রয়েছে তারা মুক্তিযোদ্ধা।
বৈষম্যহীন ও দূর্নীতিমুক্ত সমাজ বির্নিমানে জামায়াতে ইসলামীর ভেড়ামারা পৌর শাখা আয়োজিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কুষ্টিয়া-২ ভেড়ামারা-মিরপুর আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী, জামায়াতের নায়েবে আমীর আব্দুল গফুর, কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের প্রশিক্ষন সম্পাদক ড. অধ্যাপক মাওলানা নুরুল আমীন জসিম। পৌর জামায়াতের আমীর হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ভেড়ামারা উপজেলা জামায়াতের আমীর জালাল উদ্দীন, সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, সহকারী সাধারন সম্পাদক তারিক আহমেদ, মনজুরুল আলম খোকন তারিক হোসেন, চাঁদগ্রাম জামায়াতের আমীর রবিউল ইসলাম, উপজেলা জামায়াতের সাবেক সাধারন সম্পাদক হাফেজ আহমদ উল্লাহ বাহাদুরপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মোঃ আবদুল আহাদ। ধরমপুর ইউনিয়ন আমীর মাওলানা শহিদুল ইসলাম, জুনিয়াদহ ইউনিয়ন আমীর মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, মোকারিমপুর ইউনিয়ন আমীর মাওলানা সাইদুল ইসলাম, হাফেজ হারুন অর রশিদ, উপজেলা শ্রমিককল্যান ফেডারেশনের সভাপতি মোঃ শফিকুল আজম, উপজেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি মোঃ মুরসালিন।
Devoloped By WOOHOSTBD