ভেড়ামারা প্রতিনিধি – কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার জুনিয়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের ৭,৮,ও ৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার জেসমিন আক্তার এবং তার স্বামী কামাল হোসেন এর প্রত্যক্ষ মদদে মোহাম্মদ অন্তর হোসেন ও তার পরিবার কর্তৃক চাঁদনী খাতুন সাবানাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে অপপ্রচার এর নাটক সাজানোর বিরুদ্ধে আজ বিকেলে ধরমপুর বাজারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ প্রতিবাদ সমাবেশ সবাই চাঁদনী হত্যার বিচার চাই এবং মহিলা মেম্বার জেসমিন আক্তার, তার স্বামী কামাল হোসেনসহ অভিযুক্ত সকলের বিচার কামনা করেন।
উল্লেখ ভেড়ামারা উপজেলার পরানখালীতে চাঁদনীর গলায় ফাঁস দিয়ে রহস্যজনক মৃত্যু নাকি তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড়।
শোকে কাতর চাঁদনী খাতুন শাবানার বাবা-মা ও স্বজনদের দাবী আত্মহত্যা নয় এটা পরিকল্পিত হত্যা করা হয়েছে।
আড়াই বছর আগে ভেড়ামারার ধরমপুর ইউনিয়নের উত্তর ভবানীপুরের কৃষক আসাদুল ইসলাম কেরুর মেয়ে চাঁদনী আক্তার শাবানার সাথে সামাজিক ভাবে বিয়ে হয় একই উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের পরানখালী ঈদগাহ পাড়ার মুসা খন্দকারের ছেলে অন্তর মিসাইবের। বিয়েরপর মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে ট্রাকের হেলপার জামাইয়ের চাহিদা অনুযায়ী যৌতুকের নগদ ৪০ হাজার টাকা সহ বাক্স ভর্তি জিনিসপত্র দিতে হয় শাবানার বাবাকে।
যৌতুকের বাকি ২৫ হাজার টাকা দেয়ার কথা ছিলো।
গত সোমবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে গৃহবধূ চাঁদনী খাতুন
শাবানার শশুর তার মায়ের মোবাইলে ফোন দিয়ে
জানায় শাবানা গলাই দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
মৃত্যুর খবর শুনে শাবানার স্বজনরা ছুটে যায় পরানখালীতে তার শশুরবাড়ী। সেখানে গিয়ে বাড়ীর সামনের মাচানে পড়ে থাকতে দেখেন শাবানার নিথর দেহ। সে সময় খুঁজে পাওয়া যায়নি শাবানার স্বামী ও শশুর শাশুড়ী কাউকে। লাশ মাচানে ফেলে বাড়ীতে পালন করা গরু ছাগল নিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
এলাকাবাসী জানায় মাচানের উপর লাশ দেখতে পেয়ে ছুটে আসে সবাই। বাড়ীর ভিতরে প্রবেশ করে দরজা খোলা এবং ঘরের আড়ের সাথে ওড়না পেচানো দেখতে পান।
সংবাদ পেয়ে ভেড়ামারা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া
সদর হাসপাতালে পাঠান।
শাবানার মা জানান, বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়েকে জামাই অন্তর ও তার বাবা-মা শারীরিক ও মানুষিকভাবে নির্যাতন করে আসছিলো।
জামাই অন্তরের পরকীয়ার কথা জেনে ফেলায়
উভয়ের মধ্যে প্রতিনিয়ত ঝগড়া হতো।
এবং মারপিট করা হতো আমার মেয়েকে।
শাবানার বাবা আসাদুল ইসলাম কেরু বলেন, কয়েকদিন আগেও আমার মেয়েকে তার পাষন্ড স্বামী অন্তর বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করতে গিয়েছিলো।
সেদিন প্রাণে রক্ষা পেলেও এবার ওরা আমার মেয়েকে
গলা টিপে হত্যা করে গলাই ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়ে পালিয়ে গেছে। লসঠিক তদন্তের মাধ্যমে কঠিন বিচার দাবি করেন তিনি।
এব্যাপারে ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ
ওসি জহুরুল ইসলাম জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পুলিশ শাবানার লাশটি উদ্ধার করে এবং ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে প্রেরন করেন। ঘটনার পর থেকেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।এব্যাপারে গতকালই ভেড়ামারা থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
মামলা নং-৩৮/২৩ তারিখ-২৩/১০/২৩ ইং
Devoloped By WOOHOSTBD