আগামী ২১মে দ্বিতীয় ধাপে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর,জামালগঞ্জ,তাহিরপুর ও ধর্মপাশা এই চারটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীদের প্রচার প্রচারনা যখন তুঙ্গে ঠিক তখনই বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী রনজিত চৌধুরী রাজনের উপর হত্যার উদ্দেশ্যে প্রতিপক্ষ ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী দিলীপ কুমার বমর্ণের কর্মী সমর্থকদের হামলা মোটর সাইকেল ভাংচুরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রনজিত চৌধুরী রাজন তার দুইশতাধিক কর্মী সমর্থকদের নিয়ে সুনামগঞ্জের শহীদ জগৎজ্যোতি পাঠাগার মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চেয়ারম্যান প্রার্থী রনজিত চৌধুরী।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আজ শুক্রবার দুপুরে তিনি তার ফতেপুর ইউনিয়নের মুরারী চাঁদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে তার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে জড়ো হলে প্রতিপক্ষ ঘোড়া প্রতিকের প্রার্থী দিলীপ কুমার বর্মণের সমর্থক স্থানীয় ফতেপুর ইউনিয়নের সোহাগ আহমেদ শিমাল,স্থানীয় ডাঃ শফিকুল ইসলাম ও ফতেপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান প্রবোধ চন্দ্র রায়ের ছেলে গৌতম রায় সিলেট থেকে বহিরাগত কয়েকজন সন্ত্রাসী দিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মোটর সাইকেল যোগে এসে অতকির্তে হামলা চালায়। এতে চেয়ারম্যান প্রার্থী রনজিত চৌধুরীর উপর ঢিল ছুড়লে তার গাড়ির বাম্পার ভেঙ্গে যায়। এ সময় তাকে রক্ষা করতে এসে তার চারজন কর্মী গুরুতর আহত হন। আহতরা বর্তমানে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি আরো বলেন তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিপক্ষ দিলীপ কুমার বর্মণ এই মাদক ব্যবসায়ী সোহাগ আহমেদ শিমাল ঘটনাস্থলে এসে তার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে তাকে মালাউনের বাচ্চা বলে হত্যার হুমকি দেয় এবং চেয়ারম্যানের(রনজিতের) বাড়িতে নাকি পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে জ¦ালিয়ে দিবে এমন অভিযোগ তিনি সাংবাদিকদের নিকট তুলে ধরেন। তিনি হামলার ঘটনার সাথে সাথে বিশ^ম্ভরপুর থানা পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি অবহিত করলে ও ঘটনাস্থলে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের দুয়েক ঘন্টা দেরী করে আসায় হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি তার এবং তার পরিবারের সদস্যদের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি আগামী ২১ মে বিশ^ম্ভরপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনটি অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানান এবং এই হামলার সাথে সরাসরি নেতৃত্বদানকারী সোহাগ আহমেদ শিমাল,স্থানীয় ডাঃ শফিকুল ইসলামকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবী জানান।
এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান প্রার্থী(ঘোড়া প্রতিকের) দিলীপ কুমার বর্মণের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার কর্মী সমর্থকদের হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন,উল্টো আমার প্রতিপক্ষ প্রার্থী রনজিত চৌধুরী রাজনের ভাই ও তার সমর্থকরা এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।
এ ব্যাপারে বিশ^ম্ভরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) শ্যামল বণিক দু’পক্ষের প্রার্থীদের মধ্যে কিছু কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কিও ঘটনার সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) ঘটনাস্থলেগেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। বিষয়টি নিয়ে আজ ১১ই মে রোজ শনিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে এবং বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ও তিনি জানান।
Devoloped By WOOHOSTBD