ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি
আমাদের আজকের স্বাধীনতার স্থপতি যিনি, যাঁর নেতৃত্ব না দিলে হয়তো বাংলাদেশ নামে কোনো রাষ্ট্রের জন্ম হতো না সেই মহান ব্যক্তিত্ব জাতির জনক, বাংলাদেশ এর রূপকার “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান” কে আমার আত্মার অন্তর স্থল থেকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা, সম্মান, দোয়া। যাঁর মহান নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা, অর্জিত হয়েছে মহান বিজয়।
আজ ১৬ ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে যাঁদের মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন, স্বার্বভৌম বাংলাদেশ নামে একটি ভূখন্ড, যাঁদের নিস্বার্থ দেশ প্রেমের বিনিময়ে নিজেদের বুকের তাজারক্ত দিতে দুবার ভাবেনি সেই সকল মহান শহীদ বীরদের জানাই অনতরস্থল থেকে বিনম্র শ্রদ্ধা, দোয়া ।
এই বিজয় অর্জনের পিছনে রয়েছে শত শত ত্যাগ, শতশত বাঁধা, শতশত ষড়যন্ত্র যা উপেক্ষা করে বাংলার মানুষ তাঁদের মুক্তির জন্য শতভাগ মনে সৎ শাহস নিয়ে নির্ভীক ভাবে ১৯৪৭ সাল থেকে লড়াই করে গিয়েছে। এখনও আমাদের স্বাধীনতা রক্ষার্থে “মিশন ভিশন ২০৪১” এ সোনার মানুষ সোনার দেশ, সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ যাচ্ছেন আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা। যার দৃষ্টান্ত শতভাগ বিদ্যুতায়ন, পদ্মাসেতু বাস্তবায়ন। যা কিনা আমাদেরই প্রচেষ্টার ফসল।
মহান বিজয় দিবসে পুলিশ নারি কল্যাণ সমিতি(পুনাক) আয়োজিত আলোচনা সভা ও রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় পুলিশ হাসপাতাল, ফরিদপুরে। মধ্যাহ্ন বেলা ১২টা ৩০মিনিটে।
পুলিশ নারি কল্যাণ সমিতি (পুনাক), ফরিদপুর এর সম্মানিত সভাপতি জনাব নাসরিন সুলতানা এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন ডা:দিলরুবা জেবা, বিভাগীয় প্রধান (গাইনি এন্ড অবস) ও উপাধ্যক্ষ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ফরিদপুর।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জনাব মোহাম্মদ ইমদাদ হুসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, প্রশাসন ও অর্থ, ফরিদপুর (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) জনাব শৈলেন চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ক্রাইম এন্ড অপস, ফরিদপুর(পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত), জনাব শেখ মো:আব্দুল্লাহ বিন কালাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, জেলা বিশেষ শাখা, ফরিদপুর (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত), জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ, পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক), ফরিদপুর এর সকল সদস্যগণ ।
উক্ত অনুষ্ঠানে বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন (পুনাক)। যারা আত্ম মানবতার সেবায় নিজেদেরকে সর্বদা নিয়োজিত রেখেছেন নিঃস্বার্থ ভাবে। প্রতিষ্ঠান গুলো হলো :বাখুন্ডা ব্লাড ব্যাংক, বাঁধন, মানবসেবা রক্তদান ফাউন্ডেশন, মানুষ মানুষের জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
অনুষ্ঠানে মহান বিজয় দিবস এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সহ রক্তদান এবং রক্ত নিয়ে (পুনাক) এর যে মহৎ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে বিভিন্ন সেবা মূলক কার্যক্রম গুলো মান কল্যাণ ধীরে ধীরে উন্নত হচ্ছে বলে বক্তারা তাদের বত্তব্যে জানান।
পুলিশ হাসপাতালে রক্তদান সহ বিভিন্ন কাজ যেমন :ব্লাড টেস্ট, স্ক্যানিং সহ বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষাগুলো বিনামূল্যে ফ্রি তে রোগীদের সেবা দানের উদ্দেশ্য দিয়ে থাকেন।
বক্তব্য শেষে গত ১৫ই আগষ্ট থেকে ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত যতজন ব্লাড ডোনেট করেছেন তাদের মাঝে পুরস্কার বিতরন করা হয়।
আমরা জানি পুলিশ জনগণের বন্ধু। রক্তদান কর্মসূচির মতো মহৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করে তার চরম দৃষ্টান্তের আরো একবার প্রমান পেলাম পুলিশ সত্যিকার অর্থেই মানুষের বন্ধু জনতার বন্ধু।
সবশেষে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
এই সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি সুন্দর ভাবে গুছিয়ে সঞ্চালনা করেন জনাব মোঃ আনোয়ার হোসেন, সাব ইন্সপেক্টর অফ পুলিশ।
বেলা দুপুর ২টা ৩০ মিনিট এ (পুনাক) এর উদ্যোগে সভানেত্রী জনাব নাসরিন সুলতানা, পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক), ফরিদপুর এর সভাপতিত্বে শীতার্তদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরন করেন।
আত্ম মানবতার সেবায় পুলিশই জনগণের বন্ধু। নারীরাও দেশকে স্বাধীন করতে দেশের বিজয় ছিনিয়ে আনতে তাদের স্বর্বোস্ব দিতে দু বার ভাবেনি। লড়াই করেছেন সংগ্রাম করেছেন মুক্তির লক্ষ্যে । মহান স্বাধীনতা, বিজয় অর্জনের পিছনে সর্বপ্রথম এই পুলিশ ভাইয়েরাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাঁরা দেশকে স্বাধীন করতে দেশের বিজয় ছিনিয়ে আনতে, জীবন দিতে, বুকের তাজা রক্ত দিতে পিছপা হননি।
সন্ধ্যায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। জয় বাংলা, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক। সোনার মানুষ সোনার দেশ সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ এ রূপান্তরিত হোক।
Devoloped By WOOHOSTBD