প্রকৃতিতে শীতের আবহ, কুয়াশা মাখা সকাল সেই কুয়াশার চাদর ভেদ করে ন্যাশনাল মডেল স্কুলে মাঠে শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতি। সবার চোখে-মুখে আনন্দ।
অপেক্ষার প্রহর যেন শেষ হয় না, কখন আসবেন অতিথিরা, শুরু হবে বই উৎসব। আর একটু বেলা বাড়লো, রোদ উঁকি দিল, শুরু হলো উৎসব।
নতুন বই দেওয়ার এ আয়োজনকে শিক্ষার্থী আর শিক্ষকরা উৎসবের মতই পালন করছেন। নতুন বইগুলো হাতে পাওয়ার পর শিক্ষার্থীদের বাধভাঙ্গা উল্লাস। বুধবার (১ জানুয়ারি) সকালে নওগাঁ শহরের ন্যাশনাল মডেল স্কুল নওগাঁ’র মাঠের চিত্র ছিল এমনই।
এ ব্যাপারে অনুভূতি ব্যক্ত করছিলেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন তিনি বলেন, ‘আমরা বই কিনে পড়েছি। সবগুলো বই এক সঙ্গে টাকা দিয়েও লাইব্রেরিতে পাওয়া যেত না। এমনও হয়েছে সবগুলো বই জোগাড় করতে বছরের কয়েকমাস পার হয়ে গিয়েছে। এ প্রজন্ম ভাগ্যবান, নতুন বইয়ের গন্ধ বছরের প্রথম দিনই পাচ্ছে।
ন্যাশনাল মডেল স্কুল নওগাঁ’র দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সুআইবা জানায়, নতুন বইয়ের ছবিগুলো তার কাছে ভীষণ ভালো লাগে, তাই সারাদিন সে ছবি গুলোই দেখে, মাঝে মাঝে গল্পগুলোও পড়ে।
ক্লাস রুমে গিয়ে দেখা যায়, এখনও ক্লাস শুরু হয়নি, সবাই মনোযোগ দিয়ে পড়ছে আর বইগুলো দেখছে, চোখে-মুখে তাদের আনন্দের ঝিলিক।
দ্বিতীয় শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী শ্রেষ্ঠ জানায়, বছরের প্রথমে বই পেয়ে সে খুব খুশি, বইয়ের প্রথম থেকে সে পড়া শুরু করেছে।
ন্যাশনাল মডেল গার্লস স্কুল নওগাঁ’র নবম-দশম শ্রেণির ছাত্রী আরোহী জান্নাত জানায়, নতুন বইগুলোর পাতা উল্টাতেই ভালো লাগা অনুভূত হয়।
প্রধান শিক্ষক মো: শহিদ প্রমানিক বলেন, বছরের প্রথমে বই পেয়ে শিশুরা আনন্দিত। শিক্ষকরাও পাঠদানে উৎসাহী। বছরের প্রথমে বই পেয়ে যাওয়াতে বছর শেষ হওয়ার আগেই সিলেবাস শেষ করা যাবে।
স্কুলের সভাপতি রায়হান শামীম জানান, একটা সময়ছিল, যখন আমরা পড়ালেখা করতাম, তখন বছরের তিন-চার মাস চলে যেতো কিন্তু নতুন বইয়ের খবর থাকতো না। এদিক-ওদিক থেকে বই নিয়ে শুরু হতো পড়া। আর এখন শিক্ষার্থীদের কি সৌভাগ্য, বছরের শুরুতেই নতুন বই তাদের হাতে। এতে শিক্ষার্থীরা পড়া-লেখার প্রতি আগের চাইতে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
Devoloped By WOOHOSTBD