পটুয়াখালীর তেতুলিয়া নদীর অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। গত ১মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত পটুয়াখালী বাউফল, দশমিনা ও গলাচিপা উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া তেতুলিয়া নদীর চর রুস্তম থেকে ভোলা জেলার ভেদুরিয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তেতুলিয়া নদীর বাউফল অংশে দিনের বেলায় প্রকাশ্যে মাছ শিকার করছে জেলেরা। তবে এ পর্যন্ত মাছ শিকারের অপরাধে পটুয়াখালীর ৩০ জেলেকে মৎস অধিদপ্তর কারাদণ্ড প্রদান করলেও মাছ শিকার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।
বুধবার (১৩এপ্রিল) বাউফল উপজেলাধীন তেঁতুলিয়া নদীর চন্দ্রদ্বীপ, নিমদী লঞ্চঘাট, তালতলী ও ধুলিয়া অংশে ঘুরে দেখা যায় প্রায় অর্ধশত ছোট বড় নৌকায় করে নদীতে জাল ফেলে মাছ শিকার করা হচ্ছে৷ দীর্ঘ ২ ঘন্টা নদীতে গণমাধ্যম কর্মীরা অবস্থান করলেও এসময় প্রশাসনের কোনো কার্যক্রম নজরে আসেনি।
এ বিষয়ে জেলা মৎস কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ‘মৎস অধিদপ্তর কাজ করছে। এ পর্যন্ত ৩০ জেলেকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।’ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, নদীতো অনেক বড় এক যায়গায় আমরা অভিযান পরিচালনা করার সময় দেখা যাচ্ছে অন্যদিকে জেলেরা নদীতে নেমে যাচ্ছে। সকলের সহযোগিতা দ্রুত নদী নিয়ন্ত্রণে নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর মার্চ ও এপ্রিল দুই মাস দেশের কয়েকটি অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকার, পরিবহন ও আহরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকে। এ সময় ইলিশের অভয়াশ্রম গুলোতে ইলিশসহ সব প্রকার মাছ ধরা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। আইন অম্যান্যকারী ব্যক্তিকে কমপক্ষে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করতে পারে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
Devoloped By WOOHOSTBD