ময়মনসিংহের নান্দাইলে হতদরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয় অগ্নিদগ্ধ স্কুল ছাত্রী পান্না আক্তার (১০)। সে উপজেলার মুশুল্লী ইউনিয়নের মুশুল্লী গ্রামের তারা মিয়ার একমাত্র কন্যা। বাবা তারা মিয়া একজন প্রতিবন্ধী হলেও পেশায় একজন হকার। নান্দাইল চৌরাস্তা গোলচত্বর বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীদের নিকট চানাচুর বিক্রী করে কোনমতে পাচঁ সদস্যের পরিবারের সংসার চালান। সাহায্যের জন্য কাহারো নিকট কখনও হাত পাতেন নি। কিন্তু হঠাৎই একমাত্র মেয়ে স্কুলছাত্রী পান্না আক্তার অগ্নিদগ্ধ হওয়ায় পরিবারে দূর্ভোগ নেমে আসে। পান্না আক্তার মুশুলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্রী। গত সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) পান্না আক্তার দূর্ভাগ্যবশত রান্নাঘরে চুলার আগুনে অগ্নিদগ্ধ হয়। পান্নার জামায় আগুন লাগায় ভয়ে সে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করায় আগুন বাড়তে থাকে। পান্নার মা আগুন নিভাতে না পেরে চিৎকার করতে থাকলে, স্থানীয় লোকজন দৌড়ে এসে আগুন নিভাতে সাহায্য করে। কিন্তু ততক্ষনে পান্নার শরীরের নিম্নাংশ অনেকটাই পুড়ে যায়। পরে পান্নাকে দ্রুত নান্দাইল উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। বর্তমানে অগ্নিদগ্ধ পান্না আক্তার মা-বাবার দিকে তাঁকিয়ে বাচাঁও বলে আকুতি জানায়। কিন্তু অসহায় দরিদ্র প্রতিবন্ধী বাবা শুধু মেয়ের মুখের পানে চেয়ে থাকে। পান্নার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। তবে টাকা পাবে কোথায় ? পরিবারে পান্না ছাড়াও ছোট-ছোট আরও দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। এদিকে পরিবারের মুখে খাবার তুলে দিবে নাকি মেয়ের চিকিৎসার খরচ যোগাবে ? তা নিয়ে মা-বাবা হতাশাগ্রস্থ। বাধ্য হয়ে সমাজের বিত্তবান ও সরকারি সহযোগীতা চাচ্ছেন প্রতিবন্ধী তারা মিয়া। তারা মিয়া বলেন, ভাই- আমি নিজেই একজন প্রতিবন্ধী, ঠিকমত হাটতে পারিনা। কিভাবে মেয়ের উন্নত চিকিৎসা করাবো ? আমি মেয়েটিকে বাচাঁতে চাই। তাই সকলের নিকট সাহায্য চাই। সাহায্যে পাঠাতে পিতা তারা মিয়ার ০১৯২০-১৫৫৮৩৫ (নগদ) নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেন।
ছবি-সংযুক্ত
Devoloped By WOOHOSTBD