তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। বৃষ্টির জন্য হাহাকার হয়ে পড়েছে চারদিকে। মাঠের ফসলি জমি শুকিয়ে গেছে। এমন অবস্থায় নওগাঁ জেলার বিভিন্ন উপজেলার বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ (সালাতুল ইসতিসকা) আদায় করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১০টায় নজিপুর পাবলিক মাঠে প্রায় শতাধিক মুসল্লি নিয়ে নামাজ আদায় করা হয়। মোনাজাতের আগে দুই রাকাআত নফল নামাজ আদায় করে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে শীতল আবহাওয়া ও বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন পত্নীতলা উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ।
এসময় নামাজে অংশ নেয়া শাহারিয়ার শান্ত বলেন,হাদিসে রয়েছে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, দুইটা সময় জাহান্নাম নিশ্বাস ছাড়ে গ্রীষ্মকাল ও শীতকালে। অতিরিক্ত শীত যখন হয় তখন সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করা হয় এবং অতিরিক্ত গরমেও সমস্যার সমাধানে দোয়া করা হয়।
অতীতে আরব দেশে যখন এমন প্রখর রোদ আর গরম ছিল তখন হযরত মুহাম্মদ (সা.) গরম থেকে পরিত্রাণ চেয়ে সাহাবাদের নিয়ে এভাবেই আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছিলেন।বেশ কয়েক দিন ধরে তিব্র তাপদাহে পুড়ছে সারা দেশ । এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাই তীব্র গরম থেকে রক্ষা পেতে সাপাহার সরফতুল্লাহ ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে বৃষ্টি কামনায় ইস্তিসকার নামাজের আয়োজন করেছে সরফতুল্লাহ ফাজিল মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল ০৯টার দিকে সাপাহার সরফতুল্লাহ ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে এই ইস্তিসকার নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। ইস্তিসকার নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে বিশেষ দোয়া প্রার্থনা করে অঝোরে চোখের জল ছেড়ে মোনাজাত ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন ইমাম ও এলাকার মুসল্লিগণ।
নামাজে ইমামতি ও দোয়া পরিচালনা করেন উক্ত মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক মাওলানা ওমর ফারুক।
বিশেষ এই নামাজে অংশ নেয়া সাধারণ সুসুল্লিগণ জানান, কালবৈশাখীর এই মৌসুমে বৃষ্টির কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না, বরং টানা তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে । মাঠে রোদে পুড়ে কৃষকের ফসল নষ্ট হচ্ছে নষ্ট হচ্ছে বাগানে আমের গুটি । রোদের তীব্রতায় শ্রমজীবী মানুষ বেশিক্ষণ কাজ করতে পারছেন না । এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তির আশায় উপজেলাবাসী বৃষ্টির জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনার আয়োজন করেছেন।
ইস্তিসকার নামাজ আদায় করতে আসা কৃষক আব্দুস সালাম বলেন , অনেক দিন বৃষ্টি নেই, তীব্র রোদ ও প্রচন্ড গরম পড়ছে। অপর দিকে ঘনঘন লোডশেডিং সব মিলিয়ে চরম অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি । তাই মহান আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য নামাজ ও দোয়া করতে এসেছি।
অন্যান্য মুসুল্লিরা বলেন, দীর্ঘ সময় বৃষ্টিপাত না হলে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সাহাবিদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইস্তিসকার নামাজ আদায় করতেন। সে জন্য তারা মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে নিজেদের পাপের জন্য তওবা এবং ক্ষমা চেয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করতে জমায়েত হয়েছেন। অনেক অঝোর কেঁদেছেন বলেছেন আল্লাহ যেন আমাদের ক্ষমা করে রহমতের বৃষ্টি দিয়ে আমাদের রক্ষা করেন।
Devoloped By WOOHOSTBD