দৌলতপুর কুষ্টিয়া
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কুষ্টিয়া-১(দৌলতপুর) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা রাতদিন গণসংযোগ করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় খলিসাকুন্ডি ইউনিয়নের পথসভা করেছেন দৌলতপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বুলবুল আহমেদ টোকেন চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) রাত ৭ টার সময় খলিসাকুন্ডি ইউনিয়নের শ্যামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
খলিসাকুন্ডি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক জুলমত হোসেনের সভাপতিত্ব ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার রহমান বাচ্চুর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুলবুল আহমেদ টোকেন চৌধুরী।
উপস্থিত ছিলেন খলিসাকুন্ডি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধ ফজলুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাজদার হোসেন মেম্বার, আক্তার হোসেন, খলিল উদ্দিন মেম্বার,
আওয়ামী লীগ নেতা সোহেল রানা ওরস কবিরাজ,
জেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন কবিরাজ, উপজেলা যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক আমিন লস্কর, সমাজকল্যাণ সম্পাদক শাহিন খান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল্লাহেল মাসুদ সুইট, সদস্য নাজিম উদ্দীন বিশ্বাস মেম্বার, বোয়ালীয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আমাদুল কবির রিপন, রিফাইতপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মকলেচুর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ বিন জোহানী তুহিন প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বুলবুল আহমেদ টোকেন চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, এই সেই খলিসাকুন্ডি যেখানে বিএনপি আমলে খুন, ধর্ষণ হতো। রাতে তাদের ভয়ে আরেক গ্রামে যেতে পারেনি। আমার সামনে যারা মুরব্বি উপস্থিত আছেন তারা জানে ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপির চাঁদাবাজি গরু চুরির ইতিহাস। যারা ইয়ং জেনারেশন আছো তোমরা শুনে নিতে পারো দৌলতপুরে বিএনপির ইতিহাস। এমন কোন অন্যায় কার্যকলাপ ছিল না যেটা এই বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে হয়নি। আর এর নেতৃত্বে ছিলেন কুখ্যাত দুই সন্ত্রাসী, আপনাদের পাশের ইউনিয়নের হাবলু মোল্লা, তারাগুনিয়া বাজারের বাচ্চু মোল্লা। এই দুই সন্ত্রাসী মিলে কালিদাসপুর গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক কাজী আরেফ আহমেদকে হত্যা করে। তিনি উল্লেখ করেন, আমার কাছে খবর আছে দৌলতপুর বিএনপি পার্শ্ববর্তী দেশ ইন্ডিয়া থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ নিয়ে এসে মজুত করছে। তফসিলের পরে তারা এগুলো দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করবে।
এসময় তিনি আরও বলেন, আমরা প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা চলি না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উপজেলা শাখা চলে নিজ জনগণের শক্তিতে। আমি বাচ্চু ভাইকে, হাবলু ভাইকে তথা বিএনপির সন্ত্রাসী ভাইদের বলবো প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা চলি না। প্রশাসন কাল থেকে নিরপেক্ষ থাকবে আপনিও মাঠে আসবেন নির্বাচনের শেষ দিন পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকবো। দেখব আপনি পরেন নাকি আমরা পারি। কত বড় শক্তি আছে সেখানে প্রমাণ হবে। আমি খলিসাকুন্ডি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগের নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ করবো আপনারা এক হন। আপনাদের মধ্যে যার যা বিভেদ আছে ভুলে যান। আগামী দিনে জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকে নৌকার মনোনয়ন দিবেন তাকে বিজয়ী করতে সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করবো।
Devoloped By WOOHOSTBD