কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের পচাভিটা গ্রামের মোঃ জাহিদুল ইসলাম এর মেয়ে মোছাঃ নাহিদা খাতুনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন একই গ্রামের মোঃ বাকি বিল্লাহ এর ছেলে মোঃ সাকিবুল ইসলাম। সম্পর্কের জেরে পরিবারের কাউকে না জানিয়ে মোঃ শাকিবুল ইসলাম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মোছাঃ নাহিদা খাতুন কে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পার্শ্ববর্তী গ্রাম কামালপুরে জনতার হাতে আটক হয়। আটককৃত শাকিবুল ও নাহিদা কে পরে পিয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদে এনে হস্তান্তর করেন। সেখানে উভয় পক্ষের পরিবার বর্গ ও স্থানীয় প্রতিনিধিদের মাধ্যমে শালিশি করে পারিবারিক ভাবে বিয়ে দেওয়া শর্তে উভয়ের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।পরে মোঃ শাকিবুল ও তার পরিবার বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান এবং আর্মির সৈনিক পদে চাকরির প্রভাব খাটিয়ে মোছাঃ নাহিদা খাতুনের পরিবার কে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন, অসহায় পরিবার টি সম্মান হারানোর ভয় ও নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন। শালিশিতে যেসব ব্যাক্তিবর্গ দায়িত্ব নিয়েছিলেন অলৌকিক ভাবে তারাও দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন। গত ১৮ই সেপ্টেম্বরের শালিশ নামা নিম্নে হুবহু বর্নীত হলো।
প্রথম পক্ষ: শালিশ নামা
১। মোছাঃ নাহিদা খাতুন
পিতাঃ মোঃ জাহিদুল ইসলাম
গ্রামঃ পচাভিটা,ডাকঘরঃ কামারপুর
উপজেলা: দৌলতপুর, জেলা: কুষ্টিয়া ।
মোবাঃ
২য় পক্ষ :
১। মোঃ শাকিবুল ইসলাম
পিতাঃ মোঃ বাকিবিল্লাহ
গ্রামঃ পচাভিটা, ডাকঘর : কামালপুর
উপজেলা: দৌলতপুর, জেলা: কুষ্টিয়া।
মোবাইল ঃ
এতদ্বারা সালিশ নামা প্রদান করা যাইতেছে যে, ১৮/০৯/২০২৩ ইং তারিখে প্রথম পক্ষ (বাদী) ও ২য় পক্ষ বিবাদী ভালবাসার
টানা দুইজন পালানোর সময় কামালপুর গ্রামে জনগনের নিকট আটকা পড়ে । জনগন সালিশের জন্য প্রথম পক্ষ ও ২য় পক্ষ
কে অত্র ৮নং পিয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষরে চেয়াম্যানের নিকট হাজির করে । উক্ত শালিসে উপস্থিত ছিলেন মোঃ নুরুল ইসলাম
(ইউপি সদস্য ৮নং ওয়ার্ড) ও মোঃ পানজু (ইউপি সদস্য ৯নং ওয়ার্ড) এবং গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ । উক্ত বিষয়ের উপর দীর্ঘ সময়
শুনামেলা হয় । আলোচনা শেষে মোঃ নুরুল ইসলাম (ইউপি সদস্য ৮নং ওয়ার্ড) ও মোঃ পানজু (ইউপি সদস্য ৯নং ওয়ার্ড)
উভয় ইউপি সদস্য ১ম পক্ষ মোছাঃ নাহিদা খাতুন ও ২য় পক্ষ মোঃ শাকিবুল ইসলাম কে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বিবাহ দেওয়া
অঙ্গিকার করে,চেয়ারম্যানের নিকট হইতে নিয়ে যাই। নিয়ে যাওয়ার ১৪ দিন হয়ে গেছে এখন পযর্ন্ত বিবাহ দেয়নি। অদ্য
০১/১০/২০২৩ ইং তারিখে ১ম পক্ষ ও ২য় পক্ষ উভয় কে নিয়ে শালিস করার কথা থাকলেও ১ম পক্ষ হাজির হয়েছে কিন্তু ২য়
পক্ষ হাজির হয় নাই । বিধায় বিবাদটি মিমাংসা করা সম্ভব হয়নি। সার্বিক বিষয়ে বিবেচনা করে সুস্থ তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানান যাইতেছে।
Devoloped By WOOHOSTBD