কুষ্টিয়া দৌলতপুর
কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের এক নারীকে কু প্রস্তাব দেওয়া প্রতিবাদ করায় হামলার অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানায় লিখিত অভিযোগ হয়েছে।
অভিযোগে উল্লেখ্য করেন, আমার স্বামী দেশের বাহিরে থাকে। আমি ১ ছেলে ও ১ মেয়ে সন্তানের জননী। বর্তমানে মেয়ে বিবাহিত।
আমি আমার ছেলেকে নিয়ে শ্বশুর শাশুড়ির সাথে থাকি। আমার স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে খেদের আলী বিভিন্ন সময় আমাকে আজে বাজে কথাবার্তা বলে আমাকে কুপ্রস্তাব দেয়। আমি তাহার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে আমাকে সহ আমার পরিবারের লোকজনদের খুন জখম করিবে বালিয়া হুমকি দেয় এবং আমাকে উঠাইয়া নিয়া গিয়া আমার মান সম্মানের ক্ষতি করবে বলিয়া সুযোগ খুঁজিতে
থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ইং ২৯/০৬/২০২৩ তাং বিকাল অনুমান ০৫.০০ ঘটিকার সময়
পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হাতে দেশীয় তৈরী ধারালো
হাসুয়া নিয়া দৌলতপুর থানাধীন পাকুড়িয়া গ্রামস্থ আমার বসত বাড়ির ভিতর আঙ্গিনায় অনধিকার প্রবেশ করত আসামী খেদের আলী আমার গলায় হাসুয়া বাধায়া আমাকে হত্যার হুমকি দিয়া জোর পূর্বক উঠাইয়া নিয়া যাওয়ার চেষ্টা কালে আমি ডাক চিৎকার দিলে আমার দেবর মোঃ সোহেল (২৮) ও আমার
শাশুড়ি মোছাঃ আমিরন নেছা (৫৫), আমার শ্বশুর মোঃ আবুল কালাম (৬০) গন আগাইয়া আসিয়া আমাকে রক্ষা করার চেষ্টা করিলে খেদের আলী তাহার হাতে থাকা ধারালো হাসুয়া দিয়া আমার দেবর মোঃ সোহেল কে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মারিতে গেলে আমার দেবর বাম হাত দিয়া ঠেকাইলে উক্ত কোপ আমার দেবরের বাম হাতের কবজির উপর লাগিয়া গুরুতর রক্তাক্ত রগ কাটা অঙ্গহানী
জখম প্রাপ্ত হয়। মোমিন তাহার হাতে থাকা ধারালো হাসুয়া দিয়া আমার শাশুড়ি মোছাঃ
আমিরন নেছা কে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মারিতে গেলে আমার শাশুড়ি ডান হাত দিয়া ঠেকাইলে।উক্ত কোপ আমার শাশুড়ির ডান হাতের দুই আঙ্গুলের উপর লাগিয়া রক্তাক্ত কাটা জখম প্রাপ্ত হয়।। আমাকে ও আমার শ্বশুরকে এলোপাতাড়ী কিল, ঘুষি মারিতে থাকে। আমাদের ডাক চিৎকারে মোছাঃ আর্জিনা খাতুন (৩২) স্বামী- মোঃ সিদ্দিক, মোঃ উজির (৫০) পিতা-আজমত সরদার, উভয় সাং-পাকুড়িয়া, থানা-দৌলতপুর, জেলা-কুষ্টিয়া সহ আরো অনেক লোকজন আগাইয়া আসিলে খুন জখমের হুমকি দিয়া চলে যায়। ঘটনার পর পরই সাক্ষীগন সহ আমার আত্মীয়- স্বজনদের সহযোগীতায় আমার জখমী দেবর ও শাশুড়ি দ্বয়কে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেজের
জরুরী বিভাগে নিয়ে আসা হইলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার দেবরের অবস্থা গুরুতর দেখে দ্রুত চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলারেল হাসপাতাল কুষ্টিয়ায় রেফার্ড করেন এবং আমার শাশুড়িতে। জরুরী বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন। জখমীদের চিকিৎসা কাজে ব্যস্ত থাকায় এবং ঘটনার
এজাহার দায়ের করিতে বিলম্ব হইল।
এ বিষয়ে বিট অফিসার এস আই মাসুম বিল্লাহ বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Devoloped By WOOHOSTBD