কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা বিএনপিকে বিভক্ত করার লক্ষ্যে, দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহীদ সরকার মঙ্গল ও তার ভাতিজা দৌলতপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ মন্টি সরকারের বিরুদ্ধে আধিপত্য বিস্তার ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে সাধারণ নেতাকর্মীদের নিজেদের পক্ষে আনতে, দৌলতপুর উপজেলার রেফায়েত পুর ইউনিয়ন বিএনপির একজন সাধারণ কর্মী, মোঃ জিয়া, পিতা , মোঃ রিয়াজ উদ্দিন এর উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মোঃ জিয়া বলেন , আমার বাড়ি রেফায়েত পুর ইউনিয়নের আলমাতলা গ্রামে ,আমি বিএনপির একজন সাধারণ কর্মী, আমার নামে স্বৈরাচারী সরকারের দেওয়া মিথ্যা নাশকতা মামলা ও আছে । গত ৫ আগষ্টে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের হওয়ার পর, রেফায়েতপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় হামলা ভাংচুর চাঁদা বাজী দখলদারিত্ব শুরু করেন দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহীদ সরকার মঙ্গল এর ভাতিজা মোঃ মন্টি সরকার, তার কর্মকান্ডে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে তাকে আমি বাধা দিতে গেলে আমার সাথে বিভিন্ন সময় তর্ক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। তারই জেরে গত ১১ সেপ্টেম্বর রোজ বুধবার সন্ধ্য আনুমানিক ৭ ঘটিকার সময় মোঃ মন্টি সরকার আওয়ামী লীগের চিন্তিত ক্যাডার, মোঃ কামাল কাজী , হারেজ , ইউসুফ ও বিএনপি নেতা টুটুল সহ অজ্ঞাত অনেক নেতাকর্মী নিয়ে মোটর সাইকেল মহড়া দিয়ে আমার বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় আমাকে বাড়ির সামনে একা অবস্থান করতে দেখে মটর সাইকেল থামিয়ে অতর্কিত ভাবে আমার উপর হামলা চালায়। মোঃ মন্টি সরকারের নির্দেশে আওয়ামী লীগের ক্যাডার , মোঃ হারেজ, মোঃ কামাল কাজী , ইউসুফ, ও বিএনপি নেতা মোঃ টুটুল, আমাকে বেঢড়ক মারধর করে ফেলে রেখে চলে যায়। আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোঃ মন্টি সরকারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, দৌলতপুর উপজেলার রেফায়েত পুর ইউনিয়নের মোসলেম পুর গ্রামে বিএনপির শান্তি সমাবেশ ছিলো আমার নেতাকর্মীদের নিয়ে, সমাবেশ শেষে ফেরার পথে আওয়ামী লীগের দোসর মোঃ জিয়া সহ বেশ কিছু লোকজন পথ আটকে আমার সাথে থাকা নেতাকর্মীদের গালাগালি ও মারধর করতে থাকে, এতে দুই পক্ষের মধ্যে হুড়োহুড়ি বেঁধে যায় ,আমি শান্ত করার চেষ্টা করলে আমাকেও গালাগালি দিতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে আমার নেতাকর্মীদের নিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করি। আমার কথা হচ্ছে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ৫ আগষ্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর ও তাদের দোসররা দেশের ভিতরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ কিভাবে পায়। আওয়ামী লীগ সমর্থিত কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য মোঃ রেজাউল হক চৌধুরীর ছোট ভাই মোঃ টোকেন চৌধুরীর দোসর এই মোঃ জিয়া আমাদের শান্তি সমাবেশে কেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইলো এর বিচার আমি চাই। মোঃ জিয়া সারা জিবন আওয়ামী লীগের দোসর চৌধুরী পরিবারের রাজনীতি করে আমরা দেখেছি তার প্রমাণ ও আমার কাছে আছে তারা কেন আমাদের শান্তি পূর্ণ সমাবেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইলো কার ইশারায় এটা বুঝতে পারি না এমনটি নয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দৌলতপুর উপজেলা বিএনপি ঐক্যবদ্ধ ও একটি শক্তিশালী সংগঠন, এই সংগঠন কে বিতর্কিত করার লক্ষ্যে , দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহীদ সরকার মঙ্গল ও তার ভাতিজা দৌলতপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ মন্টি সরকারের নেতৃত্বে দলের ভিতরে বিভেদ সৃষ্টি করে বিভক্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ তুলেছেন। দৌলতপুর উপজেলা বিএনপিকে বিভক্ত করার চক্রান্তে এই মন্টি সরকারের চক্রে এলাকার বিএনপির সাধারণ কর্মীদের কোন সাড়া না পেয়ে , এলাকার চিহ্নিত আওয়ামী লীগ নেতা ও রেফায়েত পুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ বাবু এর ক্যাডার বাহিনী কে সাথে নিয়ে বিএনপির সাধারণ কর্মীদের ভয় ভীতি প্রদর্শন ও শারীরিক নির্যাতন করে এক প্রকার ত্রাস সৃষ্টি করে নিজেদের পক্ষে আনার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। তাদের কর্মকান্ড দেখে রেফায়েত পুর ইউনিয়নের সাধারণ জনগণের ভিতরে বিএনপির প্রতি ক্ষোভ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে, দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা, বলেন জনাব, মোঃ তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী বিএনপির কোন নেতা কর্মী দেশের ভিতরে কোন প্রকার নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাইলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমার কাছে অভিযোগ এসেছে, ঘটনার সত্যতা যাচাই করে জেলার নেতাদের অবগত করা হবে। তারা ঘটনার সঠিক তথ্য বিচার বিবেচনা করে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে সাংগঠনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
এ ব্যাপারে, স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ কাজল বলেন, দৌলতপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ মন্টি সরকার, আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে যেভাবে এলাকার ভিতর নৈরাজ্য সৃষ্টি করে চলেছে, এলাকার সাধারণ জনগণ আতংকিত, দখলদারিত্ব চাঁদাবাজি এমন ভাবে শুরু করেছে যেন তাদের দল ক্ষমতায় চলে এসেছে, তাদের আচরণে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ, যে কোন সময় একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশ নায়ক জনাব, জনাব মোঃ তারেক রহমানের নির্দেশনা উপেক্ষা করে, তারা নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করার লক্ষ্যে জনগণের পাশে না থেকে আতংক সৃষ্টি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এতে সাধারণ জনগণ বিএনপির মত একটি বড় গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দল হিসেবে পরিচিত দলের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছে বলে আমি মনে করি। দৌলতপুর উপজেলা প্রশাসনিক কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অনুরোধ করছি, দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনার জন্য।
এ ব্যাপারে দুই পক্ষের কেউ থানা কোন অভিযোগ করে নাই বলে জানা গেছে।
Devoloped By WOOHOSTBD