এমনিতেই মাদকে ছয়লাব পুরো ভেড়ামারা। অপরদিকে থার্টি ফার্স্ট ডে কে সামনে রেখে ভেড়ামারায় মাদক ব্যবসায়ীরা জোরেশোরে নড়েচড়ে বসেছেন।
সুশীল সমাজের চিন্তা মাদকের কারণে ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ বাঁচানোর উপায় কি? নীতিনির্ধারকরা মাদক নিয়ে জিরো টলারেন্স বললেও বাস্তবে তেমন পদক্ষেপ নেই। ভেড়ামারার সর্বত্র এলাকায় মাদক সেবী এবং ব্যবসায়ীদের কারণে এলাকায় চুরি, ছিনতাইসহ নানা অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে হরহামেশাই।
ভেড়ামারার পৌর এলাকাসহ ৬ টা ইউনিয়নে মাদকে ছয়লাব। উর্তি বয়সের যুবকরায় ক্রমাগত সঙ্গদোষে মাদকের কবলে আসক্ত হয়ে চলেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায় অবিভাবক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের উদাসীনতায় মাদক সেবীদের মাঝে খুব সহজেই মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের হাতে পৌঁছে দিচ্ছে মাদক। এদের কোন দল নেই। যখন যে দল ক্ষমতায় আসে তাদের ছত্রছায়ায় থেকে গোপনে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা যায়।
ভেড়ামারা কে মাদক মুক্ত করতে হলে পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, অবিভাবক এবং সুশীল সমাজ কে এগিয়ে আসতে হবে এবং কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
আজ আমরা ভেড়ামারার পৌর এলাকার চিত্র নিয়ে আলোচনা করবো-
কুষ্টিয়ার অরক্ষিত সীমান্ত পাড়ি দিয়ে দেদারসে আসছে মাদক। ভেড়ামারা উপজেলা সীমান্ত বর্তী হওয়ায় খুব সহজেই মাদক ঢুকে পড়ছে। পৌর এলাকার মাদক সেবীদের মধ্যে বর্তমানে স্কুল কলেজের ছাত্রদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনুসন্ধানে এবং এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এলাকার প্রভাবশালী কিছু লোকের ছত্রছায়ায় মাদক ব্যবসায়ীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। রেলওয়ে প্লাটফর্ম, প্লাটফর্ম সংলগ্ন পূর্ব পার্শ্বে, চেয়ারম্যান মোড়, এমপি রোড সংলগ্ন বাগানসহ জিকে ২ নং কলোনির পরিত্যক্ত রুম, উত্তর দক্ষিণ রেলগেট, ঢাকা কোচস্ট্যান্ড এর আশপাশে, নওদাপাড়া, খালেক তেল পাম্পের পিছনে, হিজরাপাড়া, হাইস্কুল গলিসহ মাঠ, চৌরাস্তা, মহিলা কলেজ মাঠ, কাচারীপাড়াস্হ মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের পিছনের পরিত্যাক্ত ভবন, কাঠের পুল সংলগ্ন হিসনা নদীর পাড়ে, বিভিন্ন বাগানে, বিভিন্ন দোকানে কেরাম বোড খেলার আড্ডায়, তাসের আড্ডায়, স্কুল মাঠ, শশানের আশপাশে,,,, এসব সেবীদের আনাগোনা পরিলক্ষিত হয়।
পৌর এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী খ্যাত নামের আদ্যক্ষর সমূহ হলো- ই, র, ল, ম,ব, স, প, ন প্রমুখ।
তাদের মধ্যে অনেকে অহংকার করে বলে আমরা থানা পুলিশ, সাংবাদিক ম্যানেজ করেই ব্যবসা করি।
অপরদিকে কিছু এলোপ্যাথিক ফার্মেসী ট্যাপেন্ডল, যৌণ উত্তেজক ট্যাবলেটসহ কয়েকটি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকরা ঔষধের নামে স্প্রিরিট এর রমরমা ব্যবসায় মত্ত রয়েছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সুশীল সমাজ মনে করেন শুধুমাত্র পুলিশের দ্বারা মাদক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়, পুলিশের পাশাপাশি অবিভাবক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা অপরিসীম।
এলাকাবাসীর দাবী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে জরুরী অভিযানসহ আশু হস্তক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
Devoloped By WOOHOSTBD