দেশ ও জাতির কল্যানার্থে বিরতিহীন অভিযানের মাধ্যমে মাদক, সন্ত্রাস, অস্ত্র ও জঙ্গিবাদ নির্মূল’সহ দেশের সার্বিক শান্তি শৃঙ্খলা বজায়ের লক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট। এই ধারাবাহিকতাকে অক্ষুণ্ণ রাখতে সারা দেশব্যাপী পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট কতৃক যথারীতি অভিযান চলমান রয়েছে।
ঘটনার বিবরণ প্রকাশ : দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বাস, ট্রেন ও লঞ্চে করে ঢাকায় আসা মানুষদের টার্গেট করে ছিনতাই করে আসছিল একটি চক্র। চক্রটি রিকশাচালকের ছদ্মবেশে যাত্রী তুলে নিজেদের পূর্বনির্ধারিত স্থানে নিয়ে যেত। পরে চক্রের অন্য সদস্যরা পুলিশ পরিচয়ে তল্লাশির নামে ছিনতাই করতো।
সম্প্রতি রিকশাযোগে কমলাপুর থেকে পুরান ঢাকার বংশাল যাওয়ার পথে এক ব্যবসায়ী এ চক্রের কবলে পড়ে এক লাখ টাকা খোয়ান। এ ঘটনায় রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্তে নেমে চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) শাহজাহানপুর থানা।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন, চক্রের মূলহোতা দেলোয়ার হোসেন (৪০) ও তার সহযোগী কামরুজ্জামান (৫০), দুই রিকশাচালক জাকির হোসেন ওরফে বড় জাকির (৪৫) ও জাকির হোসেন ওরফে ছোট জাকির (২৫)।
গতকাল বুধবার (১৩ মার্চ, ২০২৪) দিবাগত রাতে রাজধানীর বাড্ডা, খিলগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় ছিনতাই করা ৪০ হাজার টাকা ও ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত দুটি রিকশা জব্দ করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যম কর্মীদের এসব তথ্য জানান ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের ব্যবসায়ী সামাদ আলী বিশ্বাস ঢাকা থেকে কাপড় কিনে নিজ এলাকায় বিক্রি করেন। ঈদ সামনে রেখে সামাদ আলী তার ছেলে সাইদুর রহমানকে নিয়ে গত ৫ মার্চ ঢাকায় আসেন। তারা চুয়াডাঙ্গা থেকে ট্রেনে করে ঢাকার কমলাপুরে নামেন। এরপর বঙ্গবাজার যাওয়ার জন্য একটি রিকশা নেন। রিকশাচালক বঙ্গবাজার না গিয়ে পথ বদলে শাহজাহানপুর চলে আসে।
এসময় তিন ব্যক্তি নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাদের গতিরোধ করেন। রিকশা থেকে নামিয়ে পিতা-পুত্রকে তল্লাশি চালিয়ে সামাদ আলীর পকেট থেকে নগদ এক লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তারা যাওয়ার সময় কোনো শব্দ করলে গুলি করে হত্যার হুমকি দেয়।
পরবর্তী সময়ে শাহজাহানপুর থানায় বাদী হয়ে একটি ছিনতাই মামলা করেন ব্যবসায়ী সামাদ। মামলার পর তদন্তে নেমে শাহজাহানপুর, খিলগাঁও, আবুল হোটেলসহ বিভিন্ন এলাকার ৩৫০ টিরও বেশি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ছিনতাই চক্রটিকে শনাক্ত করা হয়।
হায়াতুল ইসলাম খান আরও বলেন, রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছিনতাই চক্রের দুই রিকশাচালক বড় জাকির ও ছোট জাকিরকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তী সময়ে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চক্রের মূলহোতা দেলোয়ার হোসেন ও তার সহযোগী কামরুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাকৃত দেলোয়ারের বিরুদ্ধে চারটি মামলা রয়েছে। এখন পর্যন্ত সাতবার গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। এ চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
RUHUL AMIN, DHAKA- 14/03/2024 🇧🇩
Devoloped By WOOHOSTBD