* পেস্তা বাদাম
পেস্তা বাদামে রয়েছে ভিটামিন বি-১ যা হার্ট ও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগের সময়ও বাড়িয়ে দেয় ।
* আঙ্গুরের বীজ
আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর ক্যান্সার রিসার্চ সাময়িকীতে দেখা গেছে, আঙ্গুরের বীজে থাকা উপাদান নিউকোমিয়া কোষকে ধ্বংস করে। আঙুরের বীজে জেএনকে নামের এক ধরনের প্রোটিন থাকে যা ক্যানসারের জন্য দায়ী কোষগুলোকে দ্রুত ধ্বংস করে দেয়।
* বাদাম
বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, ভিটামিন বি-৬, ভিটামিন-ই ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায়, কোলেস্টোরলের মাত্রা কমায় ও হার্টকে সুস্থ রাখে।
* আখরোট
আখরোটে পাবেন প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন-ই। আখরোট খেলে শিরার ভেতর জমে থাকা দূষিত পদার্থ সরে গিয়ে স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা কমে।
* গম
গমে রয়েছে ভিটামিন-ই ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস যা মস্তিষ্কের ক্ষয় প্রশমন করে ও হার্টকে ভালো রাখে। এর মধ্যে থাকা ফাইবার রক্ত থেকে ক্ষতিকারক কোলেস্ট্রেরল কমিয়ে দেয়।
* আমলকি
আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস। ভিটামিন-সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া হার্ট ও মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে।
* পেঁয়াজ
পেঁয়াজ হার্ট ও মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনকে বাড়িয়ে দেয়।
* কালোজিরা
কালোজিরাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস যা হার্ট বা মস্তিষ্ককে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়। উচ্চ রক্তচাপ কমাতে কালোজিরা সাহায্য করে।
* কালোজাম
কালোজামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস যা প্রবল ক্ষতির হাত থেকে হার্ট ও মস্তিষ্ককে বাঁচায়।
* মাছ
বিভিন্ন মাছে রয়েছে প্রোটিন ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা হার্ট, মস্তিষ্কের ক্ষতি রোধ করে।
* লাল আপেল
আপেলের খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস। এছাড়া এতে রয়েছে এমন উপাদান যা মস্তিষ্ককে ক্ষুরধার করার পাশাপাশি হৃদরোগের সম্ভাবনা কমায়।
*ওটস
সকালের নাস্তায় রাখুন ওটস। এতে থাকা আঁশ বা ফাইবার কোলেস্টেরল স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে এবং যা শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের আধিক্য কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। ওটের মধ্যে কলা মিশিয়ে খেতে পারনে। কলা কোলেস্টেরলের জন্য খুবই উপকারী।
* মধু
এতে রয়েছে নানা ধরনের ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্য়াগনেশিয়াম ইত্যাদি। ফলে হার্ট ও মস্তিষ্কের জন্যও মধু প্রয়োজনীয়।
* কুমড়োর বীজ
কুমড়ো যেমন উপকারী তেমনই এর বীজে রয়েছে নানা খনিজ ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা কোলেস্ট্রেরলের মাত্রা কমায় কমায় ও মস্তিষ্ককে ক্ষুরধার করে তোলে।
* বেদানা
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় , ক্ষয় রুখতে পারে , ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফলে স্ট্রেস, টেনশন কমে। কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে দারুণ উপযোগী। ব্যথা ও পেশি-বাত, অস্টিওআর্থারাইটিস, পেশির ব্যথা কমাতে , প্রস্টেট ক্যানসার, ব্রেস্ট ক্যানসারে ভাল কাজ করে ।
* খেঁজুর
খেঁজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস ও অন্যান্য উপকারী উপাদান যা হৃদরোগের রোগের আশঙ্কা কমায়। বীট হার্ট ও মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে । রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও বাড়িয়ে তোলে এই সবজি।
* টমেটো
কাঁচা টমেটোর পাশাপাশি পাকা টমেটোরও রয়েছে বহুমাত্রিক খাদ্য গুণ। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ফলিক এসিড, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা নানা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
* ফুলকপি
এতে রয়েছে প্রচুর আঁশ, যা পরিপাকতন্ত্রকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। আরও আছে অ্যান্টি-ক্যান্সার বা ক্যান্সার নিরোধক উপাদান। তবে যারা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন তাদের ফুলকপি বেশি না খাওয়াই ভালো । আবার যাদের অ্যাসিডিটির সমস্যা আছে, তাদেরও ফুলকপি খেতে একটু সাবধান হতে হবে। কারণ ফুলকপি খেলে অনেকের গ্যাসের সমস্যা হয়। এ ছাড়া থাইরয়েড গ্ল্যান্ডসংক্রান্ত জটিলতায় আক্রান্তদের ফুলকপি এড়িয়ে চলাই ভালো।
* রসুন
রসুনকে গরিবের পেনিসিলিন বলে। রসুনের ঔষধি গুন অনেক। রান্না করে খাওয়ার চেয়ে রসুন কাচা খেলেই উপকার বেশি। সেইজন্য আপনাকে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে তিন চার কোয়া রসুন চিবিয়ে বা গিলে খেতে হবে। রসুন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে ব্লাডপ্রেশার থেকে মুক্তি দেয় এবং বহু রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
* কদবেল
আমিষের পরিমাণ রয়েছে আমের চেয়ে সাড়ে ৩ গুন, কাঁঠালের দ্বিগুন, লিচুর চেয়ে ৩ গুস, আমলকী ও আনারসের চেয়ে ৪ গুন বেশি এবং পেঁপের চেয়ে দ্বিগুনের একটু কম।
* করলা
বিটার মেলন যার বাংলা নাম করল্লা এমন একটি সবজি যা দূর করতে পারে কান্সা, ডায়বেটিস এবং অন্যান্য অনেক মারাত্মক সব শারীরিক সমস্যা। যদিও এর তেতো স্বাদের কারণে কারো মুখে রোচে না, কিন্তু শুধুমাত্র স্বাদের কথা ভেবে স্বাস্থ্যের কথা একেবারে ভুলে বসলেও চলে না।
* জাম্বুরা
জাম্বুরা ভিটামিন সি ও বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ খাবার। এছাড়াও এতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ফাইবার, বায়োফ্লভনয়েড ও পেকটিন। এর অনন্য স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য একে স্বর্গ থেকে আগত ফল (fruit from the paradise) হিসেবেও অবিহিত করা হয়। এটি মানুষের ফিটনেস ঠিক রাখতে ও বিভিন্ন জটিল রোগ প্রতিরোধ করতে বিশেষ সহায়তা করে।
* লেবু
লেবুর প্রধান উপকারিতা হলো ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ইত্যাদির তৈরি করা রোগ বালাই দূরীকরণ এবং শরীরের সার্বিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি। আর অন্যটা হচ্ছে হজম শক্তি বাড়ানো এবং যকৃৎ পরিষ্কারের মাধ্যমে ওজন কমানোর ক্ষমতা।এছাড়াও লেবুর স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক । আলু খুব ভাল শর্করারবিকল্প হিসেবে কাজ করে। আবার বিটরক্তস্বল্পতা দূর করতে কার্যকরী। এদেরসাথে অন্যান্য সব শীতকালীণসবজিগুলো রান্না করে খাওয়ার চেয়ে সিদ্ধ করে খাওয়া বেশি ভাল।
* গাজর
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে। এটি চোখের গ্লুকোমা এবং ক্যাটারটসকে রক্ষা করে। এমনকি এটিহৃদরোগ এবং কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে। এর বিটা ক্যারেটিন, ফাইবার মেদ কাটাতে সাহায্য করে।এছাড়া গাজরে আছে ভিটামিন সি, এ, কে, ই, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম।শরীরের জন্য বিট অত্যন্ত উপকারী। বিটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা রক্তের লোহিত কণিকার মাত্রা বৃদ্ধিকরে থাকে। এবং এতে এমন কিছু উপাদান আছে যা শরীরের দূষিত পদার্থগুলিকে বের করতে সাহায্য করে থাকে।
* শসা
পানিসমৃদ্ধ ১টি শসা আপনাকে দুই গ্লাস সমান পানি সরবরাহ করবে। শসায় থাকে প্রচুর ভিটামিন- এ, বি, সি এবং কে। আরও আছে মিনারেল-ম্যাংগানিজ, পটাসিয়াম, কপার, মলিবডেনাম। শসার এই ভিটামিন আর ম্যাংগানিজ কাজ করে কার্যকর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে।
* মুলা
মুলায় রয়েছে ভিটামিন ‘সি’। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং কোলেস্টোরল কম করেদেয়। এটি ইউরিন ইনফেকশন দূর করে সাহায্য করে। অতিরিক্ত মুলা খাওয়ার ফলে পেটে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। তাই সীমিত পরিমাণে মুলা খাওয়া উচিৎ। শালগম হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। এছাড়া ফুসফুসের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সাহায্যকরে এই শালগম। সালাদ বা রান্না করে খেতে পারেন শালগম।
* আদা
আদা হজমে সাহায্য করে এবং পেটে গ্যাসের প্রকোপ কমায় আর সেই সঙ্গে কফ নাশ করে । এছাড়াও রয়েছে অনেক ঔষুধী গুন ।
* কিশমিশ
স্বাস্থ্য ভালো রাখতে প্রতিদিনই কিশমিশ খাওয়া উচিৎ।
কিশমিশে রয়েছে চিনি, গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজ তা তাৎক্ষণিকভাবে আপনার দেহে এনার্জি সরবরাহ করবে। (ডায়বেটিসের রোগীদের জন্য প্রযোজ্য নয়)।
* কাঁচা ছোলা
ছোলায় আমিষ , কার্বোহাইড্রেট , ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ‘এ’ এবং প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-১ ও বি-২ আছে। এছাড়াও ছোলায় বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন, খনিজ লবণ, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে আরও অনেক উপকার।
* কাঁচা মরিচ
এতে আছে ভিটামিন এ, সি, বি-৬, আয়রন, পটাশিয়াম এবং খুবই সামান্য পরিমাণে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট। ঝাল স্বাদের সব্জিগুলোতে থাকে বিটা ক্যারোটিন ও আলফা ক্যারোটিন, বিটা ক্রিপ্টোক্সানথিন ও লুটেইন জিয়াক্সানথিন ইত্যাদি উপাদান। এই উপাদান গুলো মুখে লালা আনে ফলে খেতে মজা লাগে। এছাড়াও এগুলো ত্বক ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও কাঁচা মরিচের বিস্ময়কর স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে ।
* কাঁচা হলুদ
অন্ত্রের রোগে যারা ভুগছেন তারা প্রতিদিন টাটকা হলুদ বেটে যে রস পাওয়া যাবে তা বা সামান্য পরিমাণ হলুদ গুঁড়ো করে পানিতে মিশিয়ে খাবেন। রোগটি এতে সেরে যায় একেবারেই। যারা ক্রনিক ডায়রিয়া রোগে ভুগছেন তারা প্রতিদিন ওই পথ্য তৈরি করে খেলে এ রোগের হাত থেকে রক্ষা পাবেন। যারা কৃমি রোগে ভুগছেন তারা প্রতিদিন সকালে কাঁচা হলুদের রস ২০ ফোঁটা নিয়ে তার মধ্যে ১ চিমটি লবণ মিশিয়ে প্রতিদিন সেবন করলে ওই রোগের হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। চা চামচের এক চামচ হলুদ গুঁড়ো এক গ্লাস দুধে মিশিয়ে খালি পেটে খেলে সর্দির হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে।
* পালং শাক
শরীরের অন্ত্র সচল রাখতে সাহায্য করে। অন্ত্রের ভেতরে জমে থাকা মল সহজে বের করে দেয়। ডায়াবেটিস রোগীরা এই শাক পরিমাণমতো খেলে উপকার পান। এই শাকের বীজও খুব উপকারী। এর বীজের ঘন তেল কৃমি ও মূত্রের রোগ সারায়। পালং শাকের কঁচি পাতা ফুসফুস, কণ্ঠনালীর সমস্যা, শরীর জ্বালাপোড়া ইত্যাদি সমস্যা দূর করতেও ভালো কাজ দেয়। পালং শাক শরীর ঠান্ডা রাখে। জন্ডিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য এই শাক বিশেষ উপকারী। এই শাককে বলা হয় রক্ত পরিষ্কারক খাদ্য। রক্ত বৃদ্ধিও করে। চোখের জ্যোতি বাড়ায় এবং মুখের লাবন্য বৃদ্ধি করে। পোড়া ঘায়ে, ক্ষতস্থানে, ব্রনে বা কোথাও কালশিরা পড়লে টাটকা পালং পাতার রসের প্রলেপ লাগালে ভালোই উপকার পাওয়া যায়।
* তরমুজ
চোখের সুরক্ষা করে,হৃদযন্ত্রে রক্ত সঞ্চালন,হাড় মজবুত করে,শরীরের চর্বি কমায়,কিডনি ও লিভার সুরক্ষা,৬. স্নায়ু ও মাংসপেশী সুরক্ষা, শরীরের টিস্যু সুরক্ষা করে ও ব্যথা নিরাময় করে ।
* কলা
আপেলের তুলনায় কলাতে আছে দ্বিগুণ কার্বোহাইড্রেট, তিনগুন ফসফরাস আছে, পাঁচগুণের চেয়ে বেশী ভিটামিন এ ও আয়রন আছে, দ্বিগুণ পরিমাণে অন্যান্য ভিটামিন ও খনিজ আছে। প্রতিদিন খাদ্যাভাসে কলা রাখুন। আপনার শিশুকেও এই অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করুন।
স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় ,রক্তচাপ,আলসার,বুক জ্বালা,অতিরিক্ত ওজন কমায় ।
* ডাব
ডাবে সামান্য পরিমান শর্করা থাকার ফলে ডায়বেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। এছাড়া কিডনীর অম্লত্ব ঠিক রাখতে ডাবের পানির কোনো জুড়ি নেই। ডাবের পানি খেলে স্নায়ুতন্ত্র শক্তিশালী হয় ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে পায়। ডাবের পানিতে ক্ষতিকর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এত গুনের কারণে ডাবের পানিকে বলা হয় ফ্লুইড অব লাইফ বা জীবনের পানীয়। ডাবে বিদ্যমান ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস দাঁতের মাড়িকে মজবুত করে ।ডাবের পানি ত্বকের ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক ধ্বংশ করে ত্বক ভালো রাখে। ডাবের পানিতে মুখ ধোয়ার পর ৫ থেকে ১০ মিনিট পর স্বাভাবিক পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে ত্বকের ব্রণের দাগসহ যেকোন দাগ দূর হবে সেই সঙ্গে উজ্জ্বলতা বেড়ে যাবে কয়েকগুন।
* ডিম
ডিম সেদ্ধ হোক কিংবা ভাজি, সব ভাবেই ডিম স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-৫ ও বি-৬ আছে যা শরীরের হরমোনের কার্যক্রম ঠিক রাখে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের সকালের নাস্তায় একটি করে ডিম রাখুন। এতে আপনার শরীর শক্তি পাবে ।
* দই
এটি পাকস্থলি ভালো রাখে । দইয়ে থাকে প্রচুর ক্যালসিয়াম যা দাঁত ও হাড় শক্ত করে। দইয়ে থাকে ভালো ব্যাকটেরিয়া, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, বি৬, ই এবং ফাইবার রয়েছে। এটি শরীরকে সুস্থ রাখে ।
* কচু
এর পুষ্টিগুণ অনেক। এতে রয়েছে ভিটামিন বি৬, পটাশিয়াম ও ফাইবার।যা শরীর সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে।
এছাড়াও প্রোটিন বেশি থাকে — মসুর ডালে। হাড় ও দাতকে মজবুত করে — কচুশাক বিশেষভাবে মূল্যবান — লৌহ উপাদানের জন্য। আমিষের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি — শুটকী মাছ।
* তুলসী
তুলসীপাতার রস মধুর সাথে মিশিয়ে নিয়মিত একাধারে ছয় মাস পর্যন্ত ব্যবহারে কিডনির পাথর অপসারিত হয়ে থাকে। এ ছাড়া তুলসী কিডনিকে শক্তিশালী করে থাকে। হৃদরোগেও তুলসীর ব্যবহার রয়েছে। কোলেস্টেরল বৃদ্ধিজনিত হৃদরোগে তুলসীপাতার রস খুব উপকারী। এমনকি কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমিয়ে দেয় তুলসী। ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের শর্করার মাত্রাও কমিয়ে দেয় তুলসীর রস।*. তুলসী পাতার ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে ফুসফুসীয় সমস্যায়। ব্রঙ্কাইটিস, অ্যাজমা, ইনফ্লুয়েঞ্জা, কাশি এবং ঠাণ্ডাজনিত রোগে তুলসী পাতার রস, মধু ও আদা মিশিয়ে পান করলে উপশম পাওয়া যায়। ইনফ্লুয়েঞ্জা হলে তুলসী পাতার রস, লবণ ও লবঙ্গ মিশিয়ে পান করলে ফল পাওয়া যায়। এ ধরনের রোগের ব্যবহারের জন্য তুলসী পাতা আধা লিটার পানিতে সেদ্ধ করতে হয় ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষন তা অর্ধেকে পরিণত হয়।
মানসিক অবসাদ প্রশমনে এমনকি প্রতিরোধে তুলসী চমৎকার কাজ করে। কোনো সুস্থ ব্যক্তি যদি প্রতিদিন অন্তত ১২টি তুলসীপাতা দিনে দু’বার নিয়মিত চিবাতে পারেন তাহলে সেই ব্যক্তি কখনো মানসিক অবসাদে আক্রান্ত হবেন না বলে গবেষকরা জানিয়েছেন।
তুলসীপাতার ব্যবহার ছাড়া তুলসী বীজও ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ডায়রিয়া, পুরনো আমাশয়, কোষ্ঠবদ্ধতা, পাইলস, গনোরিয়া কাশি, কিডনি সমস্যা এবং জ্বরে তুলসী বীজ উপকারী ।
—————————————————————–
ডাঃ ইসমাইল হোসেন ( মুর্শিদাবাদ) ডাঃ মনা স্ট্যাডি গ্রুপের থেকে সংগৃহীত। মূল্যবান সম্পদ গ্রুপে পোস্ট করায় ধন্যবাদ ডাঃ ইসমাইল হোসেন কে। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করবেন।
Devoloped By WOOHOSTBD