• শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
লক্ষীপুর জেলা ডিবি পুলিশের এসআই আশরাফুলের বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ নেলসন ম্যান্ডেলা শান্তি পুরস্কার ২০২৪ পেলেন সুনামগঞ্জের রাকিব আলী সীতাকুণ্ডে সড়ক দূর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মর্মান্তিক মৃত্যু  দৈনিক হালচাল পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে নিয়োগ পেলেন সাইফুল ইসলাম মধ্যনগরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুই ব্যাবসায়ীকে জরিমানা ফ্রান্সে নানা আয়োজনে উদ্বোধন হলো বাংলা ম্যারেজ ব্যারো তাহিরপুরে নানা আয়োজনে প্রতিবন্ধী দিবস পালিত রাজনগরে মোটরসাইকেল পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২ কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ফাংশনের চরমমান অন্বেষণ: তত্ত্ব এবং প্রয়োগ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নিকট এনজিও সংস্থা আশার উদ্যোগে ৪ শতাধিক শীতবস্ত্র হস্তান্তর

একুশ কে মূল্যায়ন করুন!সর্বস্তরে অন্তত সাইনবোর্ডের ভাষা বাংলা লেখা বাধ্যতামূলক করা হোক।

Zakir Hossain Mithun / ৩৩১ Time View
Update : শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

একুশ কে মূল্যায়ন করুন!সর্বস্তরে অন্তত সাইনবোর্ডের ভাষা বাংলা লেখা বাধ্যতামূলক করা হোক।

— লায়ন ডাঃ কামরুল ইসলাম মনা

আসছে মহান একুশে ফেব্রুয়ারি। এই একুশ কে ঘিরে কত কি না আয়োজন। কত কি না করে থাকি! সত্যি কি আমরা একুশ কে অন্তর থেকে ভালবাসি? বুকে লালন করি? নাকি মুখে মুখে লোক দেখানো মায়াকান্না করি? আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা বাংলা ভাষা। এই ভাষার জন্য জীবন দিয়েছে এমন দৃষ্টান্ত বাংলা ছাড়া কোথাও নেই। কিন্তু অতিব লজ্জার বিষয় আজ আমরা সেই বাংলা কে ভুলে বিদেশি ভাষায় সাইনবোর্ড লিখতে মরিয়া। যে ভাষার জন্য সালাম, রফিক, বরকত, জব্বারদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলা ভাষা। তাদের রক্ত কি বৃথা হতে চলেছে। উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলাতে ইংরেজি শিখতে অবশ্যই শিখতে হবে। এ বিষয়ে ভেড়ামারা অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি লায়ন ডাঃ কামরুল ইসলাম মনা বলেন, ‘ আমরা অবশ্যই ইংরেজি শিখব, বিদেশি ভাষা শিখব, তাতে দোষের কিছু নেই। কিন্তু নিজের ভাষাকে ভুলে নয়।’
বাংলা ভাষার সম্মান রক্ষায় নাগরিক সমাজ কে সচেতন হতে হবে। চারিদিকে সকল প্রতিষ্ঠানে আমরা ইংরেজি সাইনবোর্ড লাগানো নিয়ে ব্যস্ত। আমি মনে করি এটা ভাষার অবমাননার শামিল।

স্বাধীনতার ৫১ বছর পার হয়ে গেলেও এখনো সর্বত্র বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত হয়নি। এই ভাষার জন্য সংগ্রাম করে জীবন দিতে হয়েছে জাতির সূর্য সন্তানদের।

আজকাল পথ-ঘাট, দোকান-পাট, ব্যানার-ফেস্টুন, সাইনবোর্ড ইত্যাদিতে অবাধে ইংরেজির বিচরণ দেখা যায়। যেটুকু আবার বাংলাকে উপস্থাপন করা হয় তাও বিকৃতরূপে। অন্তত সাইনবোর্ডের ভাষা বাংলা হোক।

ভাষা আন্দোলনের মূল প্রাতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘সর্বস্তরে বাংলা ভাষার বিস্তার’। সালাম,রফিক, বরকত, জব্বারসহ ভাষা আন্দোলনে শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলা। শোকের এই মাসে নাগরিক সমাজের দাবী ” সর্বস্তরে বাংলা ব্যবহার লেখা বাধ্যতামূলক করা হোক “। আইনের সঠিক প্রয়োগ এক্ষেত্রে পালন করা হোক।

১৯৮৭ সালে এ আইন হলেও কিছু অর্ধশিক্ষিত, অশিক্ষিত মানুষ আজ ইংরেজি সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেশের প্রচলিত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে চলেছেন আইনের সঠিক প্রয়োগ না থাকায়।
পরবর্তীতে এ বিষয়ে ২০১৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এক আদেশে দেশের সব সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার, গাড়ির নম্বরপ্লেট, সরকারি দপ্তরের নামফলক এবং গণমাধ্যমে ইংরেজি বিজ্ঞাপন ও মিশ্র ভাষার ব্যবহার বন্ধ করতে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে বলেন।
সংবিধানের ৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা। এ ছাড়া বাংলা ভাষা প্রচলন আইন, ১৯৮৭-এর ৩ ধারায়ও সরকারি অফিস, আদালত, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চিঠিপত্র, আইন-আদালতের সওয়াল-জবাব এবং অন্যান্য কাজে বাংলার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
উচ্চ আদালতের নির্দেশের পরও সাইনবোর্ড ও বিলবোর্ডে বাংলা লেখা নিশ্চিত করা যায়নি। সরকারের তরফ থেকে এ বিষয়ে শুধু আদেশ বা চিঠি দিয়েই দায়িত্ব শেষ করা হয়। সেই আদেশ বাস্তবায়িত হচ্ছে কি না, কিংবা চিঠির বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে কি না, তার তদারকি নেই।
দেশব্যাপী ইংরেজি শব্দে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নাম রাখার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া ইংরেজিতে (রোমান হরফ) লেখা সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, নামফলকের ছড়াছড়ি। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ইংরেজিমাধ্যমের স্কুল, দোকানপাট, শিল্প ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের বেশির ভাগ সাইনবোর্ড ইংরেজিতে লক্ষ করা যায়।
এ বিষয়ে নাগরিক সচেতনতাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভাষার সম্মান রক্ষায় নাগরিকদের এগিয়ে আসতে হবে।
২০১৪ সালের ১৪ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডগুলোকে আদেশটি কার্যকর করতে বলে। কিন্তু তা না হওয়ায় ২০১৫ সালের ১৮ আগস্ট আদালত কড়া ভাষায় মন্তব্য করেন, বাংলা ব্যবহারে দৃশ্যত কোনো অগ্রগতি নেই। পরে ২০১৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি এক চিঠির মাধ্যমে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার, গাড়ির নম্বরপ্লেটে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করার অনুরোধ জানায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর লেখা ওই চিঠিতে বলা হয়, সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার ইংরেজির স্থলে বাংলায় প্রতিস্থাপিত হয়েছে বলে দেখা যায় না। এটা বাংলা ভাষা প্রচলন আইন, হাইকোর্টের রুল ও আদেশের পরিপন্থী।
একুশ থেকে শিক্ষা নিন! একুশ কে মূল্যায়ন করুন! যদি সত্যিকারে একুশ কে মন থেকে ভালবেসে থাকুন তবে সর্বস্তরে অন্তত সাইনবোর্ডের ভাষা বাংলা লেখা বাধ্যতামূলক করা হোক। শহীদের মাস,ভাষার মাস, আসছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।

একুশ কে মূল্যায়ন করুন!সর্বস্তরে অন্তত সাইনবোর্ডের ভাষা বাংলা লেখা বাধ্যতামূলক করা হোক।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Devoloped By WOOHOSTBD