ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া, বাংলাদেশের অগ্রগতির ৪৫তম বার্ষিকীর আমাদের অঙ্গীকার হোক

-প্রফেসর ডঃ সৈয়দ মাকসুদুর রহমান

সবুজ জোয়ার্দার –
২২ নভেম্বর ২০২৩ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া বাংলাদেশে এর ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। এ উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকল সদস্যকে অভিনন্দন জানাই । যারা এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর নিয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। যারা এ পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নিয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। সকলের সুখ শান্তি ও সুস্থতা কামনা করছি।
সবুজ শ্যামল মনমাতানো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া বাংলাদেশে । এই বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে দেশের ও বিশ্বের চাহিদার অনেক বিভাগ । এই বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে অনেক বিদেশী ছাত্র। ছাত্রদের জন্য আধুনিক বহুতল ছাত্র ও ছাত্রী হল। দেশের বৃহত্তম লাইব্রেরী। এছাড়া এখানে উন্নয়ন কর্মকান্ড অব্যাহত আছে। আশা করছি অচিরেই এখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ চালু করা হবে। ইতোমধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের খ্যাতনামা অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে সাথে ছাত্র – শিক্ষক ও গবেষণা আদান প্রদান করার জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়েছে।সবুজ গাছ ও ফুলবাগান ভরপুর ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে।ভর্তি প্রতিযোগিতা পরীক্ষাও বেশ কঠিন ।যারা বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আসে তাদের সবাইকে ভালোভাবে প্রস্তুতি প্রয়োজন । স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে প্রতিষ্ঠিত এই বৃহত্তর বিশ্ববিদ্যালয় দেশের ও দেশের বাইরে সামাজিক, রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় কর্মক্ষেত্রে অনেক অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে। একাডেমিক কার্যক্রম ও গবেষণা কর্ম এবং প্রশাসনিকভাবে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সম্মানজনক অবস্থান রাখতে সক্ষম হয়েছে। সেশনজ্যাম নেই বলা যায়। আমরা আশাবাদী আন্তর্জাতিকভাবে এ বিশ্ববিদ্যালয় অল্প সময়ের মধ্যে শক্তিশালী অবস্থান করতে পারবে।
এ বিশ্ববিদ্যালয় উন্নতি ও অগ্রগতিতে আমরা আনন্দিত হই। আধুনিক বিশ্বের চাহিদা এবং বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা করতে এ বিশ্ববিদ্যালয় যুগান্তকারী ভুমিকা পালন করবে এ ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। বিজ্ঞান আই ন সামাজিক বিজ্ঞান ও ইসলামী উচ্চতর গবেষণা করার সুযোগ আছে । এ বিশ্ববিদ্যালয়টিকে প্রতিযোগিতার দক্ষ নাগরিক গড়ে তোলার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই প্রয়োজন। যা আছে তাতে খুশি না হয়ে যা নেই তার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করার প্রয়োজন। সংঘাতমুক্ত ক্যাম্পাস এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও বিদেশি ছাত্রদের বৃত্তিপ্রদান সময়ের দাবী। উচ্চতার মানসম্মত গবেষণার জন্য শিক্ষকদের আর্থিক প্রণোদনসহ ছাত্রছাত্রীদের মেধাবৃত্তি বৃদ্ধি করার জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। জাতীয় আন্তর্জাতিক সমস্যা সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয় কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা এখনও অর্জিত হয়নি। সুষ্ঠু ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করলে ভবিষ্যতের জন্য একটি অন্যতম বিশ্ববিদ্যালয় পরিণত হতে পারে। ইসলাম সুন্দর সাবেক ছাত্র হিসেবে প্রশাসনের কাছে মানসম্মত একটি প্রতিষ্ঠান আমাদের হৃদয়ের দাবী।