হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন, অপেক্ষায় হচ্ছে শুদ্ধতম ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। ওরা সেজন্যে অপেক্ষায় করে। অপেক্ষায় করতে করতে তাঁরা রুপা হয়ে উঠে। হিমুরা আসবে না জেনেও শাড়ি পরে, কপালে টিপ জড়ায়, চোখে কাজল দিয়ে বিশ্বাস নিয়ে দাঁড়ায় এসে বারান্দায়।
সময় যায়, দিন ফুরায়, সন্ধ্যা নামে, হিমুরা আসে না তবুও। ভালোবাসে না সে-সকল প্রেমিকাদের যারা সামান্য একটু ভালোবাসা পাওয়ার আশায় অপেক্ষায় করতে করতে রুপা হয়ে উঠেছিলো। দিনশেষে পশ্চিমের লালা আসমানে যখন ভাসে ঘনঘোর মেঘ ওরা বিষাদ ভরা ছলছল নয়ন নিয়ে তাকায় আসমানের দিকে। খসে পড়া থমথমে বৃষ্টির কয়েক ফোঁটা জল ঢুকে যায় ওদের সেই বিষাদ ভরা চোখের ভিতর।
কাজল ধুঁয়েমুছে শেষ হয়, টিপের আঁঠা শেষ হয়, বৃষ্টি শেষ হয়, তবুও ওদের অপেক্ষা শেষ হয় না।
ও-ই সমস্ত প্রেমিকাদের বোকা ভেবো না। আসলে তাঁরা বোকা না, সরল। তাঁরা তাদের ভালোবাসার মতোই সরল। হুমায়ূনের আহমেদের উপন্যাসের নায়িকাদের মতই তারা সহজ সরল স্নিগ্ধ সুন্দর।